দেশের আইন মানতে অবাধ্য ও অশুদ্ধ জীবনাতিবাহিত রমনী আনোয়ারা এওয়াজপুরে মারা গেছে।

মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, ভোলা, বাংলাদেশ। মহিলা মক্ষীরানী, ভোলাইয়া ফ্যাসিজমের মা, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে চরম বিশ্রী ও কুশ্রী রাজনীতির আশ্রয় গ্রহনকারিনী আনোয়ারার তৎপরতায় কেউ দেশের আইন মানতে পারে না। দেশের মানুষকে আইন অমান্য করে চলতে বাধ্যকরার রমনী সেই আনোয়ারা-ই মারা গেছে। সে এওয়াজপুরের মৃত: রশিদ কয়ালের অবৈধ ও বেআইনী বিবাহের স্ত্রী ছিল। দৌলতখানের রং তামাশার মহিলা উক্ত আনোয়ারা এওয়াজপুরের আইনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত রং তামাশা খেলার পর, ১৮/১০/২০২৪ ইং তারিখ রোজ শুক্রবারে সকাল বেলায় — বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অগ্নিকন্যা খ্যাত মতিয়া চৌধুরীর মত দেশের আইন না-মেনে চলার অশুদ্ধ জীবন অতিবাহিত করে পরপারে চলে গেছে। মৃত্যূর আগে দীর্ঘদিন যাবত তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। তার প্রথম জীবন ভোলা মহকুমা সদর এলাকা দৌলতখানে ছিল। যেই দৌলতখান বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত বর্তমান ভোলা জেলার একটি ছোট শহর। বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী মেঘনার তীরে অবস্থিত এ শহরটি দৌলতখান উপজেলারও প্রধান শহর ছিল। প্রশাসনিকভাবে দৌলতখান শহর দৌলতখান উপজেলার সদর দফতর। প্রশাসনিক দৌলতখান উপজেলা সদর দফতরের হাজিপুর ইউনিয়নের রংগলীলার রমনী ছিল ঐ আনোয়ারা। রংগলীলা ও আমোদ-ফূর্তি করার জন্য নারী-তরুনী-যুবতিরা, বর্তমানের কলির জমানা বিএনপি-জামায়াতের আমল ও আওয়ামীলীগের আমলে যেমন— বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ও মন্ত্রী-এমপিদের নিকট হতে ভর ও আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়ে, বিভিন্ন হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, খামার বাড়ি সহ বিভিন্ন গোপন আস্তানাতে যৌবন বিসর্জন দিতে বাধ্য থাকে ঠিক তেমনভাবেই ঐ আনোয়ারা তার জীবনের বহু সময় দৌলতখানের বিভিন্ন এলাকায় ও ঊনসত্তরের গণহত্যাকারী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঢাকা-চট্রগ্রামে রঙ্গশালায়, একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিভিন্ন রঙ্গশালায় আমোদ ফূর্তি ও রং তামাশা করার নারী ছিল। মুঘল আমলের প্রথম দিকে দৌলতখান এলাকা ছিল আরাকান রাজ্যের মগ, জলদস্যু ও পর্তূগীজ ফিরিঙ্গিদের আশ্রয়স্থল। আনোয়ারা বেগম সেই মগ, জলদস্যু ও পর্তূগীজ ফিরিঙ্গিদের প্রজন্ম ধরে জীবন-যাপন করত। মুঘল সুবেদার মীর জুমলার মৃত্যুর পর আলমগীরের মামা এবং সম্রাজ্ঞী নুরজাহানের ভাই আসক খানের পুত্র শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৮৬৬ ইং সালে তিনি চট্রগ্রামের পর্তূগীজদের দূর্গও জয় করে। আর সেই শায়েস্তা খানের প্রজন্মের সিড়ি বেয়ে এই আনোয়ারা — ১৯৩০ ইং সালের ভোলার লবন মূল্য বিপ্লবের পরাজিত শক্তির হাত ধরে পারিবারিক জীবন গড়ে তোলে। পারিবারিক জীবন গড়ে তোলার পর মহিলা বা রমনীদের উপর সংঘবদ্ধ গোপন পুরুষচক্র লেলিয়ে দিয়ে অদৃশ্য গোপনভাবে মহিলা বা রমনীদের যৌন নালী অদৃশ্য গোপনভাবে নিজ দখলে রাখত। নিজে এগুলোর ব্যবসাও করত। যাকে সহজ ভাষায় বলা হয় একজনের বউ বা স্ত্রী আরেকজনে নিয়ে যাওয়া। ঊনবিংশ শতাব্দির নব্বইয়ের দশকের আগে মনীন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর নামক এক লোক বর্তমান ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল। সেই মনীন্দ্র চন্দ্র ঠাকুরের প্রতিপক্ষ ছিল তাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির আব্দুল আজিজ-জেবল- মাহমুদ গ্যাং। সেই আজিজ-জেবল- মাহমুদ গ্যাং এর হাত ধরে স্বামী সংসার নিয়ে ঐ আনোয়ারা বর্তমান ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়। এওয়াজপুরের বাসিন্দা হয়ে আনোয়ারা এক জনের আইনগত স্ত্রী আরেক জনের স্ত্রী করার কাজের উম্মাদনায় মেতে ওঠে। এবং এলাকার আইনগত লোকজনের সাথে বে-আইনী রং তামাশা করার কান্ডকীর্তিতে মেতে ওঠে। বাংলাদেশর বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল লড়িয়েট ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আইটেম আইডি নং- DL948567996BD ( তাং- ১৭/১০/২০২৪ ইং) এর আশ্রয়ে ঐ কুখ্যাত মহিলা ক্রিমিনাল সর্দারিনীর বার্ধক্যজনিত মৃত্যুর খবরের সত্যতা পাওয়া গেছে। মহিলা ক্রিমিনাল সর্দারিনী থাকাকালে আনোয়ারা বেগম বহু অপকর্ম-কুকর্মের একজন মহিলা গডফাদার ছিল। মহিলা দস্যুতার গডফাদার, নারী ও যুবতি দস্যুতার গডফাদার, মাদক গডফাদার, দাদন গডফাদার, ভূমিদস্যুতার গডফাদার হিসেবে বেশ সফল হলেও তার দেবর খোরশেদ বেপারির নাতনী নারগিসের বিবাহের পর নারী ও যুবতি দিয়ে তার ঘটানো দেহ ব্যবসায় ভাটা পড়তে দেখা গেছে। মৃত্যূর দিন মধ্যাহ্ন নামাজোর পর তার জানাজার খবর শোনা গেছে। মৃত্যূকালে প্রায় নব্বই বছর বয়সী আনোয়ারা তার বহু মাদকসেবী আত্মীয়-স্বজন, গর্ভায়ন, দেশের আইন- কানুন মানতে অবাধ্য ও অশুদ্ধ জীবনাতিবাহিত করার জনগ্রাহী রেখে গেছে। ছবিতে — মৃতের পক্ষ।