লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চাঁদার দাবিতে স্থাপনা নির্মাণে বাধা, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ

মোঃ কামাল উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মোশাররফ হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে স্থাপনা নির্মাণে বাধার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী ফারজানা আক্তার ওই উপজেলার বাসিন্দা আবি আব্দুল্লাহার মেয়ে। স্থানীয় কয়েকজন বলছে, ওই নারীর কাছ থেকে নিছক চাঁদার দাবিতে মোশারফসহ কয়েকজন খাল দখলের অভিযোগ এনে স্থাপনা নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। এর আগে উপজেলার তোরাবগঞ্জ  বাজারের পাশে তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের পাশে ভুক্তভোগী ওই নারীর মালিকানা জমিতে স্থাপনা নির্মাণের সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী ফারজানা, কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফারজানা আক্তারকে হয়রানি করতে বিগত সময়ও মোশারফসহ কয়েকজন তার জমিতে সরকারি খালের জমি রয়েছে বলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন।অভিযোগের সূত্র ধরে বিগত সময়ে কমলনগর উপজেলা সহকারি  কমিশনার ভূমি শামসুদ্দিন মোঃ রেজা সরেজমিনে তদন্ত করে  একটি প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়,  উত্তর লরেন্স মৌজার আরএস ১৬০ দাগে মুসার খাল সংলগ্ন  সাড়ে ছয় শতক জমির মালিকানা ফারজানা আক্তারের রয়েছে। বর্ষাকালে খালের পানির ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলে খালপাড়ের বাঁধসহ  স্থাপনাগুলো ঝুঁকির মাঝে পড়ে। তাই স্থাপনা ঝুকিমুক্ত করতে ভুক্তভোগী ফারজানা খালপাড়ে নিজস্ব ভূমিতে বালুর বস্তা ভর্তি  বাঁধ দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছে। খালপাড়ে স্থাপনা  নির্মাণ করতে দেখে স্থানীয় মোশারফ সহ কয়েকজন যুবক ওই নারীর কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় হয়রাণি। স্থানীয় কয়েকজন বখাটে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ওই নারীকে নানাভাবে হেনস্তা শুরু করে।
স্থানীয়রা বলছেন,  খালের জায়গায় খাল থাকলেও মালের জন্য মোশারফ সহ বখাটে সাংবাদিক পরিচয় দানকারীরা অহেতুক ওই নারীর কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এসে বিষয়টি দেখলেও রাতের আঁধারে ওই নারীর বাঁধগুলো মোশারফ সহ কয়েকজন মিলে খালে ফেলে দেয়।  এতে করে তার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
খালে কোন বাধা সৃষ্টি না হলেও মোশারফ হোসেন সহ যুবকরা শুধুমাত্র চাঁদার জন্যই এ কাজটি করছেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
Exit mobile version