দেশ-বিদেশের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা। সরকারের প্রতি সাম্যতার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার আহ্বান জানান তারা। উগ্র হিন্দুত্ববাদের কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। অংশ নেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা। আলোচকদের অভিযোগ, ভারতের সাম্প্রতিক আচরণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি।
ভারতের মিডিয়া ও রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশকে নিয়ে বিষোদগার করছে বলে মন্তব্য করেন কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, সম্পর্ক হতে হবে সাম্যতার ভিত্তিতে।
জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হলে আমরা আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চাই।’ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তোলার তাগিদ দেন লেফটেন্যান্ট (অবসরপ্রাপ্ত) কর্নেল মনীষ দেওয়ান। দিল্লির উগ্র হিন্দুত্ববাদের কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মনীষ দেওয়ান বলেন, ‘আমাদেরকে এসবের ভয় দেখাবেন না। শুধু আমরা সশস্ত্র বাহিনী নই, আমাদের ১৭ কোটি জনতা রয়েছে আপনাদের সীমান্তেই রুখে দিতে।’
সমাবেশ শেষে বিভিন্ন বাহিনীর সাবেক সদস্যরা রাওয়া ক্লাব থেকে একটি মিছিল বের করে। এটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংলগ্ন ক্রসিং হয়ে আবার রাওয়া ক্লাবে এসে শেষ হয়।