সম্প্রতি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ ‘চীন, আইন এবং উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
এই ওয়েবিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর সোসিও-লিগ্যাল স্টাডিজের
সহযোগী গবেষণা ফেলো ম্যাথিউ এস এরি, জে.ডি., পিএইচ.ডি., সহযোগী অধ্যাপক ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ অনুষদ; সদস্য,
আইন অনুষদ। ওয়েবিনারটির শুরুতে বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ
রিজওয়ানুল ইসলাম।
ডঃ এরি ‘চীন, আইন এবং অগ্রগতি’ (সিএলডি) বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ গবেষণা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন যা চীন এবং
এর অন্যান্য রাষ্ট্রে তিন বছরের ফিল্ডওয়ার্ক এবং প্রায় ১৫০ টি সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে করা হয়েছে। গবেষণা
প্রকল্পটির লক্ষ্য হল: বিশ্বে আইন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকা কী? চীন কীভাবে তার বিদেশী বিনিয়োগ রক্ষা
করছে, চীনের বৈশ্বিক উন্নয়নে আইনের ভূমিকা, এবং চীনের আন্তঃসীমান্ত আইন ও নীতিমালার প্রভাব ইত্যাদি
গবেষণাটির কেন্দ্রবিন্দু।
ডঃ এরি কয়েকটি ক্ষেত্র উল্লেখ করেছেন যেগুলি চীনা পরিকল্পনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। যেমনঃ ডাটা গভর্নেন্স,
ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স, মেধাসত্ত্ব আইন, স্বাস্থ্য, আন্তর্জাতিক আইন এবং তেল ও গ্যাস আইন ইত্যাদি। ম্যাথিউ
এরির ভাষায়, "কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিয়মগুলিকে রুপ দেওয়ার ক্ষেত্রে চীন প্রথম আগমনকারীর সুবিধা পেতে
পারে।" অনুশীলন, নেটওয়ার্ক এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করে চীন এই বিভাগগুলিতে তাদের
পদচিহ্ন স্থাপন করছে। অধ্যাপক এরি অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে চীনা দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকর কিনা এই প্রশ্নের
উপর জোর দিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। তিনি বলেন, “যেহেতু এটি সাফল্য পেয়েছে তাই বেশ কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র
এখন অর্থনৈতিক কিছু ক্ষেত্রে চীনের অনুকরণ করছে”।
ওয়েবিনারটিতে প্রফেসর ইসলামের পরিচালনায় প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরি শ্রোতাদের কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা
করেছিলেন যা বাংলাদেশের জন্য চিন্তা করা অপরিহার্য, উদাহরণস্বরূপ, তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বাংলাদেশে চীনের
বিশাল অর্থনৈতিক পদচিহ্নের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতিতে চীনের উপস্থিতি সম্পর্কে বিতর্কগুলি
কী কী? এর সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার কারা এবং এই অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য আদর্শ কাঠামো কী? এছাড়াও, কিভাবে
সিএলডি প্রকল্প বাংলাদেশ এবং এর অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে?
এটি ছিল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগের আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার সিরিজের ২৮তম ওয়েবিনার, যা ২০২১
সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড,
যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা অধ্যাপকবৃন্দ এই ওয়েবিনার সিরিজটির বিভিন্ন পর্বে আইনের বিভিন্ন
বিষয়ে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং
শিক্ষকমণ্ডলীর অংশগ্রহণের দ্বারা ওয়েবিনারগুলি আরও প্রাণবন্ত হয়।