নলছিটিতে  সড়ক ও জনপদ বিভাগের মেরামত কাজে  ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

মনির হোসেন বরিশাল :ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া মোল্লারহাট সড়কের শিমুলতলা ভায়া মাদারঘোনা পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তার মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার(২৫জুন) সরোজমিনে তদন্ত গিয়ে দেখা গেছে,সিডিউল অনুযায়ী ১২মিলি সিলকোট দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে মাত্র ৩-৬মিলি সিলকোট দিয়ে সড়কের মেরামত কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাজ চলমান সময় ঠিকাদারের মর্জি অনুযায়ী সড়কের মেরামত কাজ করা হচ্ছে। নেই কোন তদারকি।
সেখানে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন কর্মকর্তা উপস্থিত দেখা যায়নি।
জানা গেছে,দপদপিয়া মোল্লারহাট- নলছিটি(জেড এ ভূট্টো রোড) জেড-৮০৫৬। (নলছিটি মোল্লারহাট সড়কের শিমুল তলা ভায়া হইয়া মাদারঘোনা পর্যন্ত) মোট ৪.০কিঃমিঃ রাস্তা মেরামতের কাজ।  ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরের  ৪৯৯৯৯,০৪১.৭৮৩ টাকার রাস্তা মেরামতের কাজের  আহবানকৃত টেন্ডারে মেসার্স এম খান প্রাঃ লিঃ ০৭ মে ২০২৪ইং তারিখে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়। পরবর্তীতে এম খান প্রাঃ লিঃ এর স্বত্বাধীকারী মো. মাহফুজ খান এর নামের কাজটি জনৈক পিনু আক্তার নদী উল্লেখিত রাস্তার সিলকোট মেরামত কাজটিতে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরিফ খান ও এস,ও সাইফুল ইসলামসহ অফিস ম্যানেজের মাধ্যমে কাজটিতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে  দ্রুত কাজটি  সম্পন্ন করার পায়তারা করিতেছে এবং দ্রুত বিলটি উত্তোলনের চেষ্টা চলছে। এভাবে নিম্ন মানের কাজ করলে নলছিটি মোল্লাহাট এর একমাত্র সড়ক রাস্তাটি সম্পন্ন হলে অতিসত্বর পূর্বের ন্যায় রাস্তাটি খানাখন্দকে পরিনত হইবে ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্যহত হচ্ছে।  এ ব্যাপারে এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুচ ফকির জানান, এখানে সড়ক মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। এ কাজ করার চেয়ে না করার ভালো। এখান থেকে শতশত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন  চলাচল করে। যেভাবে করা হচ্ছে তাতে অচিরেই আবার আগের মতো খানাখন্দে পরিনত হবে। তাদের ভালো কাজের জন্য তাগিদ দিলে তারা বলে ওসব অফিস  বুঝবে আপনাদের জানার দরকার নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা নোমান খান বলেন, যে কাজ হচ্ছে তাতে এ কাজ না হওয়া ভালো। এখানে রং আর বালু দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন খানাখন্দ ভরাট না করে সেখানে প্রলেপ দিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আরেক বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, রাস্তার মেরামতের কাজ শ্রমিকরা করে যাচ্ছে। এখানে সরকারি কোন কর্মকর্তা উপস্থিত নেই। কাজ দেখে মনে হচেছ তারা লিপিস্টিক দিয়ে প্রলেপ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পিনু আক্তার নদী জানান, আমরা এটি এম খান প্রাঃ লিঃ এর লাইসেন্সে সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। মিস্ত্রি কালাম জানান, যে সিডিউল মোতাবেক কাজ হচেছ না। সিলকোট বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নরকম আছে কোথাও ৬মিলি ও কোথাও ৮মিলি দেয়া হচ্ছে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও সাইফুল ইসলাম জানান, অনিয়মের ব্যাপারটা আমি দেখতেছি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরিফ খান ব্যবহৃত মুঠোফোনে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও ঝালকাঠির সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে স্থানীয়ভাবে  একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
Exit mobile version