নারীদের বুকে লালসার নজর না দিলেই ব্রা ছাড়া বেরোতে পারি: শ্রীলেখা

ফিলিপাইন প্যারিস

এবার বর্ষীয়ান ফরাসি অভিনেত্রী ফিলিপাইন প্যারিস ফ্যাশন উইকে ব্রা না পরে স্বচ্ছ কালো পোশাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। অভিনেত্রীর শরীরের সমস্ত ভাঁজ স্পষ্ট তাঁর পোশাকের বাইরে থেকে বুঝা যাচ্ছিল। এর আগে মাইলি সাইরাস এবং কেন্ডল জেনারও একই ভাবে নিজেদের শরীরের প্রতি অধিকারের কথা বলেছিলেন। ভারতে সম্প্রতি টিনসেল টাউনে মালাইকা অরোরা হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ব্রা না পরে। গোলাপি হুডির বাইরে দিয়ে তাঁর ‘নিপ্‌ল’ (স্তনবৃন্ত) স্পষ্ট হওয়ায় কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।

এ ব্যাপারে অভিনেত্রী শ্রীলেখা বলেন, কেবল স্তন আড়াল করার জন্য ব্রা পরা হয় না। শারীরিক গঠনকে ঠিক রাখতেও ব্রা পরে মহিলারা। যদিও তিনি নিজে ব্রা না পরে রাস্তায় বেরোতে চান না। কিন্তু বাড়িতে ব্রা ছাড়া থাকতেই অভ্যস্ত তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যদি আমাদের দেশে নারীদের বুকের দিকে তাকানো বন্ধ হয়, তা হলে হয়তো আমিও ভেবে দেখব।”

তিনি বলেন, ”কিন্তু হঠাৎ আন্দোলন করতে হবে বলে ব্রা না পরে রাস্তায় বেরিয়ে যাব না আমি। ব্রা না পরা তো দূরের কথা, সরু ফিতের পোশাক পরে একটা রিল করেছিলাম, তাতে এক মহিলা আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘ওটাও খুলে ফেলো’। তাই আমার চারপাশটা দেখলে ও রকম কোনও পদক্ষেপ করতে ইচ্ছে করে না।’’

শ্রীলেখা আরও বলেন, ‘‘কালীদাস থেকে শুরু করে মকবুল ফিদা হোসেন, শিল্পীদের শিল্পে বারবার নারী শরীরকে পুজো করা হয়েছে প্রকৃতি হিসেবে। কিন্তু লালসার নজরে দেখাটাই সমস্য়াজনক। কেউ তো কারও শরীরের প্রশংসাও করতে পারে। কোনও নারীর বক্ষযুগল সুন্দর বললে তো কোনও দোষ নেই।”

তিনি বলেন, ”কিন্তু লালসার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসাটাই আসল। সেখানেই পাশ্চাত্যের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না আমাদের। ওরা যত সহজে ব্রা ছাড়া বেরোতে পারে, আমরা পারি না। ওই একটি কারণে।সেখানে পৌঁছতে অনেক সময় লাগবে। মনোভাবের সার্বিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এ দেশে যে দিন সেটা সম্ভব, তত দিন হয়তো আমরা কেউ বেঁচে থাকব না।’’

Exit mobile version