নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে নীলফামারী জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা কর্যালয় এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র যৌথভাবে র্যালী এবং আলোচনা সভা হয়েছে।
৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সকাল ১১ টায় ‘বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যালী বের হয়ে চৌরঙ্গী মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা হয়। নীলফামারী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: আবু বক্কর সিদ্দীক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। এসময় বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম উপ-সচিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফারুক-আল-মাসুদ, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এস এম সফিকুল আলম ডাবলু, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক নুসরাত ফাতেমা, জেলা প্রবেশন অফিসার মো ফরহাদ হোসেন, শহর সমাজসেবার অফিসার হৃদয় হোসেন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো ফিরোজ সরকার, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান আলী, সদর সহকারী উপজেলা অফিসার মো: ওয়াসিম ইসলাম, দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন প্রমুখ সহ এ কর্মসূচিতে জেলা সমাজসেবা কর্যালয়ের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ইশারা ভাষাকে অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। সে বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামন থেকে র্যালি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বাংলা ইশারা ভাষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। ইশারা ভাষা মূলত মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষা। তাই একে সকল ভাষার মাতৃভাষা বলে অভিহিত করা যায়। কিন্তু বিশ্বের শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের ভাব বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম ইশারা ভাষাকে আমরা অবজ্ঞা অবহেলা করে আসছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় সমাজের সকলকে নিজ প্রয়োজনে এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে ইশারা ভাষা শেখা খুবই প্রয়োজন। তাই এ ভাষার বিস্তার এবং প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।