বায়োজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর প্রত্যান্ত পল্লী ও কৃষি জমির উপর অবৈধ ভাবে গড়ে তুলছে ইট ভাটা। মানছেন না -ইট পুস্তত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ সনের ৫৯ নং ধারা।
আইনী ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পথচারীসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে ঘনবসতিপুর্ন ও পাকা রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। ভাটার মালিক ৯ এর ৫(১) ধারা ভঙ্গ করে অন্যন্য কৃষি জমির মাটি কেটে কাকঁড়া দিয়ে ভাটায় আনছেন। এ ছাড়াও কয়লার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নাই- যা নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত সালফার,আ্যশ,মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা জ্বালানী হিসাবে (আমদানি করিয়া)ব্যবহার করিতেছেন।
এ কয়লা পোড়ানোয় প্রচুর পরিমাণে ছাই তৈরি হয়। অন্যদিকে ইটভাটা থেকে বায়ুমণ্ডলে দূষিত উপাদানও যোগ হচ্ছে। এসব দূষিত উপাদানের মধ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটার, কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার অক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রতিনিয়ত বায়ুমণ্ডলে নির্গত হচ্ছে।
যদি এই দূষিত উপাদানের নির্গম বায়ুমণ্ডলে অব্যাহত থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাকে নাকচ করে দেওয়া যায় না।
ইটভাটা থেকে নির্গত এই দূষিত উপাদান মানবদেহে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করলে রেসপিরেটরি সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ইটভাটার আশপাশে বসবাসরত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বেশি দেখা যায়।তাই এ ইট ভাটাটি গুড়িয়ে দিতে জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ইউএনও ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পথচারীসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।