বায়েজীদ পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র ৩ দিন বাকি তাই পলাশবাড়ী কালীবাড়ি বাজারসহ সম্পূর্ণ থানায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। শুরু হয়েছে টুংটাং শব্দ। নতুন নতুন দা ছুরি বটির পাশাপাশি কোরবানির পশু কাটাকাটিতে ব্যবহারিত পুরাতন ছুড়ি বটি দা মেরামতের কাজ চলছে দিন রাত।
তবে পলাশবাড়ী সদরে কামাদের খুশির চেয়ে উঠবেগ যেন দখল করেছে। কয়লা সংকট আর লোহা ইস্পাতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ছাপ পড়েছে এ পেশায় জড়িতদের।
কালিবাড়ি বাজারের শ্রী সুজন কর্মকার বলেন, কয়লার সংকট দেখা দিয়েছে এরই সঙ্গে বেড়েছে দা বটি বানানোর লোহা ও ইস্পাতের দাম। ফলে এখন কাজ করে আগের মত লাভ হচ্ছে না। আগে হোটেল বাসা বাড়ি থেকে কয়লা সংগ্রহ করা হতো, এখন হোটেল বা বাসা বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করা কয়লা পাওয়া তাই দিন দিন কষ্ট হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইটের ভাটাগুলোতে গ্যাস এবং কয়লা ব্যবহার হচ্ছে আগে কাট বা খড়ি দিয়ে ভাটা ইট পোড়ানো হতো এজন্য কয়লা সংকট দেখা দিয়েছে।
কালিবাড়ি বাজারের আরেক কামার শ্রী-অমল নামে অপর এক কামার বলেন, বেশি দামে কয়লা কিনতে হচ্ছে, গত বছরে ১টিন কয়লা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এবার তা কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ধরে।
আমলাগাছির খোকন কর্মকার বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানি ঈদ মানুষ তেমন অর্ডার দিচ্ছে না কাঁচা লোহার দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে, তাই কোরবানির সরঞ্জাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ছুরি বটি ব্যবসায়ী অমল চন্দ্র বলেন, গতবছরের চেয়ে এবার কোরবানি সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি।
সরজমিনে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, মাংস কাটার দা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি করছি, আগে এর দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় চাকু ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং এখন তা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বটি ছিল ২০০ টাকা এখন সেই বটি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এছাড়া হাসুয়া ১৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করছি।
শামীম রেজা নামে এক বিক্রেতা বলেন, এ বছর দা বটি চাকুর দাম অনেক বেশি। কোরবানির পশু কিনেছি তাই দাম বেশি হলেও সরঞ্জাম কিনতে হবে। হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম আবার কমে আসবে।
গাইবান্ধা রোডের এক কর্মকার বলেন, লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমারা সবকিছু দাম বেশি যাচ্ছে তাই গত বছরে বানানো দা বটি চাকু কামারের কাছে এসে ধার করতে নিয়ে যাচ্ছে।