৬৯’র গণঅভ্যূত্থানে প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেছেন, মওলানা ভাসানী আজীবন কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে পাঠ্যপুস্তকে তার রাজনৈতিক জীবনী তুলে ধরার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে পুরানা পল্টন রিসোর্স ফুল পল্টন সিটির মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী (রহঃ) মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর ১৪৪তম জন্ম বার্ষিকী ও বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোখলেসুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ। আরো বক্তব্য রাখেন, নেজামী ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুর রহমান, গ্রীন পার্টির সভাপতি রাজু আহমেদ খান, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল বাশার, পঞ্চায়েত পার্টির চেয়ারম্যান রহিম শেখ।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। ‘মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ করে মাওলানা ভাসানী কারাবরণ করেন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তাঁর রয়েছে ব্যাপক অবদান ছিল।
উক্ত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ এবং সাহিত্যে অবদান রাখায় একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ কে মওলানা ভাসানী পদক প্রদান করা হয়।