সাহাব উদ্দিন রিটু ,লামা(বান্দরবান) প্রতিনিধি:
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের বিদ্যমান পরিস্থিতি পেছনে ফেলে ৫০ বছরে দেশের বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এখন গ্রিড এলাকায় দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। পাহাড়, কিছু দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন অফগ্রিডের ১ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সেই হিসেবে দেশের গ্রিড-অফগ্রিড মিলে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে বিশেষ প্রকল্প চালু হয়েছে।
প্রতিটি পরিবারকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প ২য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের উপকার ভোগীদের মাঝে বান্দরবানের লামায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সোলার সিস্টেম বিতরণ ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গজালিয়া,সরই,রুপসীপাড়া ও সদর ইউনিয়নসহ ৪ টি ইউনিয়নের বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় ২৭৯৩ পরিবারে প্রায় ১৩ কোটি টাকার সোলার সিস্টেম বিতরণ করা হয়েছে।প্রতিটি সোলার সিস্টেমের মুল্য ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে সোলার প্যানেল, চার্জ কন্ট্রোলার, ব্যাটারী,এলইডি বাল্ব,পিভি প্যানেল মাউন্টিং স্ট্রকচার,ব্যাটারী ক্যাবল, ডিসি ক্যাবল,ডিসি ক্যাবল,ক্যাবল ক্লিপ,ক্যাবল টাই,বাল্ব হোল্ডার, ডিসি সুইচ, ২ পিন সকেট,স্ক্রু,পিভিসি টেপ।তাছাড়া বাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য প্রতি পরিবারকে নগদ আরো ৬৫০ টাকা করে দেওয়া হয়।
গত ২ জুলাই শনিবার পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈশিং এমপি সোলার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বিভিন্ন ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা,ছাচিংপ্রু মার্মা,মিন্টু কুমার সেন ও আলহাজ্ব ইদ্রীস কোম্পানীর সাথে উপস্থিত থেকে সোলার বিতরণ করেন। বৃস্পতিবার পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যানগন বরাদ্দকৃত পরিবারের মধ্যে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এসব সোলার বিতরণ কার্যক্রম শেষ করেন।
বিকরণকৃত ইউনিয়নের মধ্যে গজালিয়া ইউনিয়নে ৭টি ওয়ার্ডে ৬২৫ পরিবারে ২ কোটি ৮১ লক্ষ ২৫ হাজার, সরই ইউনিয়নে ৩টি ওয়ার্ডে ৫৫১ পরিবারে ২ কোটি ৫০ লক্ষ,রুপসীপাড়া ইউনিয়নে ৭টি ওয়ার্ডে ১০৩২ পরিবারে ৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪০ হাজার,সদর ইউনিয়নে ৬টি ওয়ার্ডে ৫৮৫ পরিবারে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ১২ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার সোলার সিস্টেম বিতরণ করা হয়।এছাড়াও সংযোগ স্থাপন বাবদ ৬৫০ টাকা করে ২৭৯৩ জনকে ১৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৪শ ৫০ টাকা নগদ প্রদান করা হয়।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের এ সোলার সিস্টেম পেয়েছে বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্টীর মানুষেরা । যেসকল এলাকায় এসব সোলার দেওয়া হয়েছে তা উঁচু নিচু পাহাড় ও অত্যন্ত দুর্গম এলাকা।এখানে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।কোথাও কোথাও হেঁটে যেতেও লাগে কয়েক ঘন্টা।বিদ্যুতের কথা কোনদিন ভাবেনি এই এলাকার মানুষ। সূর্য়ের তাপে রুপান্তরিত সৌরশক্তিন মাধ্যমে এ পরিবারগুলোর ঘরে রাতের আঁধার দুরীভুত হচ্ছে দিনের আলোতে।সেই আলোয় আলোকিত এখন তাদের ঘর ও জীবনমান।
সোলার সিস্টেম পেয়ে উপকারভোগীদের কয়েক জন র্যাংত্র ম্রো,লংনান ম্রো,তাংহ ম্রো জানান,আমরা কখনও এলাকায় বিদ্যুতের আলো পাব ভাবিনি। এর মাধ্যমে আমরা ঘরে আলো জ্বালাতে পারছি,মোবাইলে চার্য দিতে পারছি।আজ আমরা অনেক খুশি।প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুলেননি সহজ সরল প্রকৃতির এ মানুষগুলো।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান,যেখানে বিদ্যুৎ যাওয়ার ব্যবস্থা আছে সেখানে বিদ্যুৎ লাইন সরবরাহ চলছে।বিদ্যুৎ যেতে পারবে না এমন এলাকায় আমরা সোলার বিতরণ করেছি।এতে প্রায় নব্বই ভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে।পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈশিং স্যারের সাথে আলাপ করে বাকী বিদ্যুৎবহিীন এলাকায় সোলার দিতে পারলে “প্রধান মন্ত্রীর উদ্যোগ,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই উপজেলায় বাস্তবায়ন ও শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসবে।
সংবাদ প্রেরক
আশ্বাস যুগ্ম সচিবের পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ হবে সব ইবতেদায়ি মাদরাসা
দেশের সব ইবতেদায়ি মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কারিগরি...