“পি/রিয়ড হয়েছে আমার!
আজ শারী-রিক মেলা মেশা না করলে হয়না ?
–বাসর ঘরে ঢুকার সাথে বউয়ের মুখে এমন কথা শুনে হাসিব একটু রেগেই যায়।
–কেনো পিরিয়ড হয়েছে তাতে কি! এই অবস্থায় কি মেলা মেশা করা যায় না। (হাসিব)
–হুম যায় তবে খুব কষ্ট হয় নাকি? ( বউ )
–কষ্ট হয় সেটা তুমি কেমনে জানলে হুমম ( হাসিব )
–আসলে আমি এই সব বইয়ে পরেছি। আবার আমার দাদিমা ও বলেছে আমাকে! ( বউ )
–ওহ আপনার আজকেই এই-টা হতে হলো! আর সময় পায়নি? ( হাসিব)
— আসলে আমি বলেছিলাম যেনো ৪/৫ দিন পর বিয়েটা হয়। কিন্তু সবাইকে নাকি দাওয়াত দেয়া শেষ। দিন তারিখ ঠিক করা শেষ তাই আর পিছানো হয়নি। ( বউ )
–ওহ বুজলাম। কিন্তু আমার যে বাসর নিয়ে কতো স্বপ্ন ছিলো বউকে কতো আদর করবো ভালোবাসা দিবো তার কি হবে এখন শুনি ( হাসিব )
–ওহ! আচ্ছা ঠিক আছে আপনি চাইলে আমার মন যা, যা চায় করতে পারেন। কারন আমার এই সব কিছু এখন আপনার? (বউ)
( কথাটি বলেই বউ মুখটা নিছে করে )
–আচ্ছা একটি কথা বলি! ( হাসিব )
–হুম বলেন ( বউ )
— চলো না আমাদের ওই সাদে গিয়ে দুর আকাশের চাঁদটা দেখি। কিন্তু হ্যা আমি তোমার কোলে মাথা রাখবো। ( হাসিব )
–কিন্তু বাসর! ( বউ )
–আমার বউটাকে কষ্ট দিয়ে কি তার সাথে মেল মেশ করতে পারি হুম? যেই দিন আমার বউটা সুস্থ হবে সেই দিন বাসর করবো! এখন চাদ দেখবো চলো? ( হাসিব )
–কিন্তু আপনার যে অনেক স্বপ্ন ছিলো এই বাসর রাত নিয়ে। ( বউ )
–হুম ছিলো। কিন্তু আমার বউয়ের কষ্টের কাছে এই স্বপ্ন খুবেই তুচ্ছো? ( হাসিব )
–কথাটি শেষ হতে না হতেই বউ হাসিব কে জরিয়ে ধরে বলতে থাকে!
–সত্যি আপনি একজন অনেক বড় মনের মানুষ। আল্লাহ্ আপনার সাথে যে বন্ধন রেখেছে এর জন্যে শুক্রিয়া জানাই
–আসুন সবাই বউকে আগে জানি। তার সাথে মেলা মেশা করার আগে জেনে নেই সে সুস্থ আছে কি না?
কাহিনী ও লেখা : Ruhul Amin