বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসে দিনার সিন্ডিকেটের ঘুষ বানিজ্য চরমে ॥ এ বিষয়ে কিছুই জানি না: দিনার

বন্দর প্রতিনিধি
বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসের নামজারী সহকারি ইমরান হোসেন ওরফে দিনারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ-দুণীতির অভিযোগ উঠেছে। ভূমি সেবার নাম করে ধুর্ত এ কর্মকর্তা একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। নির্ভরযোগ্য ওই সূত্রটি জানায়,ইমরান হোসেন ওরফে দিনার অত্যন্ত সুক্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্দরের ভূমিসেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার টাকা উৎকোচ হাতিয়ে নিচ্ছেন। দিনারের অর্থ আদায়ের সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মিসকেস সহকারি নাসরিন আক্তার এবং তার ওমেদার মাহাবুব। তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে সেবাপ্রার্থীরা অনলাইনে তাদের ভূমির নামজারী বা মিসকেস করার পর উপজেলা সহকারি কমিশণার (ভূমি) অফিসের দায়িত্বে তা নিরুপণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভূমি অফিসের সাধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী সেসব আবেদনে ডেসপাস নাম্বার বসিয়ে এসিল্যান্ডের নিকট দাখিল করা হয়। এসিল্যান্ড ক্রমানুসারে প্রত্যেককেই শুনানীতে ডাকেন। শুনানী শেষ হওয়ার পর রহস্যজনক কারণে সেসব ফাইল আটকে থাকে। নিয়ম মোতাবেক সেবাপ্রার্থীদের মিসকেস ও নামজারী সংক্রান্ত তথ্যাবলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন কিংবা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে উপজেলায় পাঠানো হয়। কিন্তু দিনার সিন্ডিকেটের গোলচক্করে পড়ে সেসবের কিছুই হয়না। দিনার সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত করে কাজ করেন শুধুমাত্র তাদের কাগজপত্র এবং কর্মপ্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হয়। দিনার সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিদিন অগণিত সেবাপ্রার্থী হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিনার গংয়ের নিরব ঘুষ-দুণীতি সাধারণ ভূমি মালিকদেরকে দূর্বিষহ করে তুলছে। এ ব্যাপারে সেবা নিতে আসা জনৈক ভুক্তভোগী জানান,আমরা জানি ভূমি অফিসের সেবা নিতে সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়া বেশি টাকা লাগেনা। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে দেখি তার উল্টোটা। সেই আগের মতোই আছে ভূমি অফিস। টাকা ছাড়াতো ফাইল নড়েই না। বরং দিনার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে গোটা বন্দরের সাধারণ ভূমি মালিকরা। এ সংক্রান্তে অভিযুক্ত দিনারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান,আমি বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসে মাত্র নতুন জয়েন্ট করেছি মাত্র বছর খানেক হয়েছে। এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না,আপনার এসিল্যান্ড স্যারের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারেন।

Exit mobile version