তালতলী (বরগুনা)প্রতিনিধিঃ তালতলীর ৩৩ নং উত্তর কচুপাত্রা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদেরকে স্মরণ করতে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০:০০টায় এবং ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০:০০ টায় দুইটি ভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০:০০ টায় একটি বর্নাঢ্য র্যলী বের হয়। র্যালীটি কচুপাত্রা বাজারের বিভিন্ন সরক প্রদক্ষিন শেষে বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ৪নং শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মৃধা। সেলিম মৃধা তারঁ বক্তব্যে বলেন, আমরা জাতি-ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। সেটি আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কি না তা পর্যালোচনা করে দেখার সময় হয়েছে। তিনি তরুনদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যুদ্ধে আমাদের অস্ত্র ছিল বন্দুক, কিন্তু আজ তোমাদের অস্ত্র হলো প্রযুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তোমাদেরকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন তার সুফল কাজে লাগিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন মহান বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে দেশের অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা পঞ্চাশ বছরে একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠন করেছি। আগামী পঞ্চাশ বছরে দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দেবার কাজ তরুন সমাজকে করে যেতে হবে।
প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনকালীন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আশি শতাংশই ছিল দারিদ্র সীমার নিচে। আজ সেটি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে আশি শতাংশ মানুষই দারিদ্র সীমার উপরে বাস করেন। কিন্তু বাকী যে বিশ শতাংশ মানুষ এখনও দারিদ্রসীমার নিচে বাস করেন, তাদের প্রতিও কিন্তু আমাদের দায় আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসাঃ শাহানাজ পারভীনএর সভাপতিত্বে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ছিলেন কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ ফোরকান মিয়া, শারিকখালী ইউনিয়ন আয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আলোচকবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অনুপস্থিতিতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতির কথা তুলে ধরেন। তাঁরা প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেনকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতির সামনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কিছু বলার সুযোগ করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মিজানুর রহমান মিজান তার বক্তব্যে দেশের তরে জীবন বিলিয়ে যারা প্রিয় ভূমি স্বাধীন করেছেন তাঁদের ত্যাগের কথা তুলে ধরেছেন।
অনুষ্ঠানসমূহে অন্যান্যের মধ্যে বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ বাবুল কবিরাজ, আনছার দফাদার,স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, ছাত্র অবিভাবক বৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।