বাংলাদেশের কিং বদন্তির ডিজিটাল বাংলা কবির জন্ম খোকসা কুষ্টিয়ায়

কুষ্টিয়ার সংবাদদাতা :- কে,এম, তোফাজ্জেল হোসেন( জুয়েল)(১৯৯৮-২০২১) বাংলাদেশের কিং বদন্তির ডিজিটাল বাংলা এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন( জুয়েল)১৯৮৩ সালের ৮/১২ ইংরেজি তারিখে এবং বাংলা ১০ ই আশ্বিন কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার কমলাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এডভোকেট আলহাজ্ব মো:লিয়াকত হোসেন বিশ্বাস এম,এস,এস রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও এল এল বি বঙ্গবন্ধুর প্রেমি মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কে খুব ভালোবাসেন নিজের হাতে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে করেছেন নানা কৌশলে মুক্তি যুদ্ধ তিনি ত্র‍্যাডভোকেট ও একজন নাম করা ব‍্যাবসায়ী মাতার নাম মোছা: খালেদা খাতুন এইচ,এস,সি ও একজন সমাজ সেবিকা। কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেনের ডাক নাম (জুয়েল খান )। তিনি ২০১০ সালে লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে মাষ্টার্স অব বিজনেস এড‍্যমিনষ্টেশন   পাশ করে বিভিন্ন প্রাভেট কোম্পানিতে উল্লেখযোগ্য হলো আকিজ সিমেন্ট কোম্পানি  সেভেন হস  সিমেন্ট কোম্পানি শাহ সিমেন্ট কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানি তাইহিও সিমেন্ট কোম্পানি ইত্যাদি  চাকরি  করেন চাকরি  ভালো না লাগায় পিতার ব‍্যাবসা বাণিজ্যের ফাঁকে  লেখাপড়ার  করেছেন । তিন খোকসা্ মডেল প্রাথমিক বিদ‍্যালয় থেকে নিম্ন মাধ‍্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার পরে খোকসা্ সরকারি পাইলট হাইস্কুল থেকে ১৯৯৮ সালে প্রথম বিভাগে এস এস সি উওীন হন শিক্ষা জীবনের বাকি অধ‍্যায় মাস্টার্স ওব বিজিনেস এ‍্যডমিনিষ্টেশন সম্পর্ন করেন জুয়েল খান অল্পবয়সেই ইসলাম ধর্মের মৌলিক আচার-অনুষ্ঠান, যেমন পবিত্র কুরআন পাঠ, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেন। পরবর্তী জীবনে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতে ইসলামি ঐতিহ্যের রূপায়ণে ওই অভিজ্ঞতা সহায়ক হয়েছেন কবি,গীতিকার,লেখক কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন (জুয়েল) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি কিং বদন্তির ডিজিটাল বাংলা কবি এবং আধুনিক বাংলা গানের জগৎতে ও সুনাম বা লেখালেখির জন‍্য খ্যাতি সুনাম অর্জন করেছেন । কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসত বাড়ি, বঙ্গবন্ধুর বসত বাড়ি,শেখ মুজিবুর রহমান, অনুকরণমুক্ত কবিতা রচনায় তাঁর অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী কবিতা সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেন।কবি,গীতিকার,লেখক কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন( জুয়েল) কবিতায় ব্যতিক্রমী এমন সব বিষয় ও শব্দ ব্যবহার করেন, যা আগে কখনও ব্যবহূত হয়নি।কবি,গীতিকার,লেখক কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন( জুয়েল) সৃষ্টিকর্মে হিন্দু-মুসলিম মিশ্র ঐতিহ্যের পরিচর্যা করেন। কবিতা ও গানে তিনি এ মিশ্র ঐতিহ্যচেতনাবশত প্রচলিত বাংলা ছন্দোরীতি ছাড়াও অনেক সংস্কৃত ছন্দ ব্যবহার করেন। কবি,গীতিকার,লেখক তোফাজ্জেল হোসেন (জুয়েল) ইতিহাস-চেতনায় সমকালীন এবং দূর ও নিকট অতীতের ইতিহাস, সমভাবে স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব।কবি,গীতিকার,লেখক কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন (জুয়েল) এর সৃষ্টি কবিতা গুলির মধ‍্যে যেন বঙ্গবন্ধুর বসত বাড়ি,পচিশে বৈশাখ কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসত বাড়ি, নাবিক,মা বাংলার,  বাংলার রুপরস, মা, নানান রকমের কবিতার সমাহার কবির রচনা করেন কবি,গীতিকার,লেখকের,কবিতা,গান, বাংলাদেশ ও কলকাতার বিভিন্ন দৈনিক ন‍্যশনাল,স্বাপ্তাহিক,ম‍্যগাজিন পত্রিকা এমনকি সুনাম ধন‍্য টিভি চ‍্যনেলেও প্রচারিত হয়।কুষ্টিয়া জেলার ঐতিয্য ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিষ্ঠা হয়। তখন কুষ্টিয়া জেলা ৩ টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো কুষ্টিয়া ,চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর।এরপর ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর আলাদা জেলা হিসেবে পৃথক হয়ে গেলে কুষ্টিয়া মহকুমার ৬ টি থানা নিয়ে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা গঠিত হয়।কুষ্টিয়া জেলার আয়তন ১৬২১.১৫ বর্গ কিঃ মিঃ কুষ্টিয়ার নামকরণ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী।কুষ্টিয়ায় একসময় কোষ্টার (পাট)চাষ হত বলে কোষ্টা শব্দ বথেকে কুষ্টিয়া নামকরণ হয়েছে। হেমিলটনের গেজেটিয়ারে উল্লেখ আছে যে স্থানীয় জনগণ একে কুষ্টি বলে ডাকত বলে এর নাম হয়েছে কুষ্টিয়া। অনেকের মতে ফরাসি শব্দ’’ কুশতহ’’ যার অর্থ ছাই দ্বীপ থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে।সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি ঘটেছে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত পশ্চিম বাঙলার সমৃদ্ধ কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে কুষ্টিয়া জেলার কিছু গুণী
মানুষের নাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান,
জাতীয় পতাকারও অন্যতম রূপকার কাজী আরেফ আহমেদ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,বাউল সম্রাট লালন,
মীর মশাররফ হোসেন,সুরকার ও কবি আজিজুর রহমান,
বিশিষ্ট কবি দাদ আলী,লেখিকা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকই,
এই পদ্মা এই মেঘনা’’ গানের রচয়িতা আবু জাফর, কুষ্টিয়ার
সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠাতা কাঙাল হরিণাথ,নীল বিদ্রোহের নেত্রী প্যারী সুন্দরী, স্বদেশী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতিন, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী,ফকির নিজামুদ্দিন শাহ্,মোহিনী মোহন চক্রবর্তী,অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়,বাংলাদেশের নাম করনের বঙ্গবন্ধুর সহযোগী শুধী জন আলহাজ্ব মোঃ মনসুর আলী বিশ্বাস,  যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়,ড. রাধা বিনোদ পাল,ড. কাজী মোতাহার হোসেন,রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই,শিবেন্দ্রমোহন রায়,সৈয়দ মাসুদ রুমি, হাজী জালাল উদ্দীন মিয়া,  ছাত্রনেতা ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম,গগন হরকরা,বর্তমান আমা‌দের খোকসার গর্বপুরুষ প্রধান বিচারপতি হাসাব ফয়েজ সিদ্দিকী  বাংলা‌দেশ ব‌্যাং‌কের প‌রিচালক Sirajul Islam মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পি এস টু জয় মোরশেদ ভাই,  বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর মননীয় প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, রাজু মোহাম্মদ সেনাবাহিনী উদ্ধতন অফিসার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল বিভাগ
জনাব পারভেজ হাসান,উপ পুলিশ কমিশনার  মাহ্ফুজুল    ইসলাম দিপু ( পিপিএম বার)   কক্সবাজার জেলা, মোছা:- তানজিনা_ইসলাম  যুগ্ম- সচিব, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী  Adv Rezaul Islam যুগ্ম- সচিব কবি, কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক হাজী আঃ মজিদ বিশ্বাস, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান ,  ইনু,মাহবুল উল আলম হানিফ  ক্রিকেটার হাবিবুল বাসার সুমন,এনামুল হক বিজয় ।সঙ্গীত শিল্পী মোঃ আব্দুল জববার, ফরিদা পারভীন,এস আই টুটুল, শফী মণ্ডল, সালমা, ফারুক,লিজা এবং একাধিক বাউল শিল্পী । অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু, বন্যা মির্জা কচি খন্দকার আল মামুন, ইত্যাদি,  ফকির নিজামুদ্দিন শাহ্, ডাক নাম নিজাম, ছেউড়িয়াতেই জন্ম বাংলা ১৩২৯ সালে। একুশ-বাইশ বছর বয়সে কুষ্টিয়া
মোহিনী মিলে চাকুরী করতেন। চাকুরী বলতে তাঁতের
কাজ।মিল থেকে ছুটি হলে পায়ে হেঁটে লালনের আঁখরায়
আসতেন, বসে বসে গান শুনতেন।গানের গভীরকথা তাঁকে
আত্নসাবধান করতো, ভুলিয়ে দিত তাঁর সৃষ্টি যন্ত্রণা। তাঁর
মতে লালনের গান উগ্রমনে নম্রতা আনে, গানই তাঁর দিল
খুলে দেয়, গানেই বোঝা যায় কোনটা মরা, কোনটা বাঁচা।
গানের সুরের চেয়ে গানের সারকথাই তাঁর কাছে মহৎ।তাঁর দীক্ষাগুরু ফকির কোকিল শাহ্ অবিবাহিত ছিলো,নিঃসন্তান কোকিলের সেবাদাসীর নাম যশোধা ফকিরানী; পৈত্রিক সম্পত্তির সবই ব্যয় করে যান সাধু সেবায়। ফকির নিজামুদ্দিন আজ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর আগে খেলাফত
গ্রহণ করেন, সেই থেকেই সংসারের হিসেব চুকে দিয়ে
সৃষ্টি ছাড়া। লালনের সমাধি ঘরের ভিতরে পরে আছেন দীঘ
সময়।কাজী আরেফ আহমেদ কাজী আরেফ ছিলেন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ওসার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকারও অন্যতম রূপকার। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমানে জহুরুল হক হল) ১১৮ নং কক্ষে বিপ্লবী পরিষদের সদস্যদের সাথে বাংলাদেশের পতাকার নকশা চূড়ান্ত করেন।নিউক্লিয়াসের সদস্য হিসেবে তিনি তাতে নেতৃত্ব দেন। তৈরি করা ওই
পতাকা ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বটতলায় উত্তোলন করেন ঢাকসুর ভিপি আ,স,ম আব্দুর রব।মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার
লক্ষ্য নিয়ে একদল তরুণ ৭২ সালের ৩১ অক্টোবর গঠন করেন জাসদ। কাজী আরেফ ছিলেন জাসদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। তিনি সে সময়ে দলের মুখপাত্র সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র দৈনিক গণকন্ঠের সম্পাদকের দায়িত্বও
গ্রহন করেন।কাজী আরেফ আহমেদ (জন্ম- ৮ইএপ্রিল ১৯৪২ , মৃত্যু- ১৬ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯) কুষ্টিয়া সদর
উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে জন্ম। ১৯৬২ এর নিউক্লিয়াসের
সদস্য ও মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি ।
পশ্চিমাঞ্চলীয় সেক্টরে মুজিব বাহিনীর ডিপুটি
প্রধান হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কাজী আরেফ,
মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক ওবাংলাদেশের জাতীয়
পতাকার রূপকার মোহিনী মোহন চক্রবর্তী:
কুমারখালি এলঙ্গী গ্রামেজন্ম-১৮৩৮ ও মৃত্যু-১৯২১।
তিনি একাধারে চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ী ছিলেন । তিনি চক্রবর্তী এন্ড সন্স নামে পূর্ববাংলার সর্ববৃহৎ কাপড়ের কল নির্মান করেন। গগন হরকরা: অনুমান করা হয় কুমারখালির শিলাইদহের গোবরখালী কসবা গ্রামে তার জন্ম। আনুমানিকজন্ম-১৮৪৫মৃত্যু-১৯১০। ডাকহরকরা ও পিওন হওয়া সত্বেও গানে পারদর্শী ছিলেন। তার লিখিত ‘আমি কোথায় পাব তারে ,আমার মনের মানুষ যেরে’ গানটির আঙ্গীক ও সুরের অনুসরনে রবীন্দ্রনাথ জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেন। মীর মশাররফ হোসেন: কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি
উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে তাঁর
জন্ম । জন্ম-১৮৪৭,মৃত্যু-১৯১১।বাংলা সাহিত্যে তাঁর
অবদান অনসীকার্য। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রন্থ ‘‘বিষাদ
সিন্ধু’’।অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়: মিরপুর থানার শিমুলিয়া গ্রামে
জন্ম-১৮৬১, মৃত্যু-১৯৩০।ইতিহাসবিদ,আইনজীবি ও
সাহিত্যিক। তাঁর আলোচিত দু’টি গ্রন্থ হচ্ছে সিরাজদ্দৌলা ও মীর কাশিম।বিজ্ঞান সম্মত প্রণালীতে বাংলা ভাষায় ইতিহাস
রচনায় পথিকৃত।যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়:ওরফে বাঘা যতীন কুমারখালি উপজেলার কয়া গ্রামেজন্ম-১৮৭৯, মৃত্যু-১৯১৫।
দেশকে ইংরেজের কবল থেকে মুক্ত করতে এই স্বদেশী
নেতা সশস্ত্র সংগ্রামের পরিকল্পনা করেন। ড. রাধা বিনোদ পাল:কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ গ্রামে জন্ম।
জন্ম-১৮৯৬,মৃত্যু- ১৯৬৭। তিনি আইন সম্পর্কিত বহু গ্রন্থের রচনা করেন। এছাড়া তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।ড. কাজী মোতাহার হোসেন:কুমারখালি উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।জন্ম-১৮৩৭,মৃত্যু- ১৯৮১। একাধারে সাহিত্যিক,শিক্ষাবিদ,সঙ্গীতজ্ঞ ও দাবাড়ু মাস্টার্স অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন  পর্যন্ত পড়া শুনা কবি,কে,এম,তোফাজ্জেলকে নিয়ে অনেকেই  পি.এইচ.ডি করার চিন্তা করছেন এই গুনি কবিকে নিয়ে জীবন কাহিনি আপনাকে অনুপ্রাণিত করবেই।কিন্তু অনেকেই জানে না অত্যন্ত অনাড়ম্বর জীবন কাটানো এই মানুষটি একজন জনপ্রিয় কবি৷ তার ঝুলিতে রয়েছে অজস্র সাহিত্য গল্প কবিতা। গোটা জীবনটাই গড়িয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। ১০ বছর বয়সে পঞ্চম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় কবিতা প্রীতি কবিতা লেখা গান লেখা আবৃত্তি করা এর উপর খুব ঝোকছিল কবির  । কিন্তু তার প্রতিভা কখনোই জীবনের কাছে হার মানে নি। যতবারই তিনি কলম ধরেছেন তার হাত থেকে ঝরে পড়েছে সাহিত্যের মণিমুক্তা।ছোটবেলা থেকেই তিনি বাংলা ভাষায় ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। কবিতা চর্চা শুরু করেন একটু বড় হয়ে। ১৯৯০ সালে প্রথম কবিতা ‘চিঠি দিও ’স্থানীয় এক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়৷ তারপর তিনি আরো চারটি কবিতা পাঠান ঐ পত্রিকায়। সেগুলোও প্রকাশিত হয় একে একে।এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি কবি কে, এম, তোফাজ্জেল হোসেনকে   একের পর এক লেখা প্রশংসা কুড়োয় সাধারণ মানুষ থেকে সাহিত্য সমালোচকদের। তাঁর সমস্ত কবিতা একত্রিত করে  গ্রন্থাবলী’ প্রকাশের অপেক্ষায় । চলছে এই বই এর দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতিও। এই মুহুর্তে তার লেখা নিয়ে গবেষণা করতে চাইছম কয় এক জন তবু এখনো আগের মতই অনাড়ম্বর জীবন যাপনেই অভ্যস্ত ‘লোক কবি রত্ন’!!

Exit mobile version