সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
স্বৈরশাসন আমলে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অফিসকে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় বানানো হয়েছিল। এই সমিতির নির্বাহী কমিটি প্রহসনের নির্বাচন করে ১৬ বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। এই নির্বাহী কমিটির আবুল বারকাত-খলীকুজ্জামান-আইনুল ইসলাম-জামালউদ্দীন-হান্নানা বেগম চক্র বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালে খেলাপী ঋণ দিয়ে ব্যাংক খাত ধ্বংস, বিদেশে টাকা পাচারে সহযোগিতা করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়াকরণ, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন করে এই ব্যাংকগুলোকে বিলুপ্তকরণ কর্মকান্ড করেছে। ৩ আগস্ট ২০২৪ খ্রি: তারিখে এই নির্বাহী কমিটি খুনী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে গণহত্যার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং তাকে মদদ দেয়। তাদের এই জঘণ্য কর্মকান্ড সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে মাঠে থাকা সদস্যরা জ্বলে উঠে। জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের মহান শহীদের রক্তের সাথে অর্থনীতি সমিতির দুর্বৃত্তদের বেঈমানী সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে থাকা সদস্যদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সমিতির দুর্বৃত্তায়নকারী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু করে। ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পরে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সমিতির কার্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় সমিতির সদস্যদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫৫ সদস্যের উপস্থিতিতে সমিতির স্বৈরশাসন আমলের কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি সমিতির সকল দায় দায়িত্ব বুঝে নেয়, সংস্কারের কাজ শুরু করে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। ২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। আত্মগোপনে থাকা কমিটি টাকার বিনিময়ে এডহক কমিটির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে অর্থের বিনিময়ে বিএনপির একজন নেতার নাম ব্যবহার করে কিছু ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সাথে নিয়ে সমিতির অফিসে আকস্মিকভাবে হানা দেয়। এডহক কমিটির পূর্ব নির্ধারিত সভায় বাধা দেয় এবং অস্ত্রের মুখে সমিতির চাবি ছিনিয়ে নেয়। তারা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ ১০জন কট্রোর আওয়ামীলীগপন্থী, একজন আবুল বারকাতের নিকট আত্মীয়, একজন র-এর এজেন্ট এবং চারজন স্বৈরশাসন আমলের নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে যারা পরিপূর্ণভাবে স্বৈরশাসক এবং খুনী শেখ হাসিনার দোসর।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এডহক কমিটি সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় সদস্যদের সাথে নিয়ে সমিতির অফিস দখলমুক্ত করেছে। সমিতির অফিসের দখলবাজ, বাংলাদেশের অর্থনীতি দেউলিয়াকারী এবং ব্যাংক খাত ধ্বংসকারীদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সোমবার বিকাল ৪ ঘটিকায় বাংলাদেশ অর্থনীতির সমিতির কার্যালয়ে এডহক কমিটির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আপনি আমন্ত্রিত এবং আপনার উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য।