তামিল চোল সম্রাজ্য ১১ শতাব্দীতে বাংলা আক্রমণ করেছিল৷ তাদের ওই সময়ের রেকর্ডে ( ভাঙ্গালাদেশা) বাংলাদেশ শব্দটি পাওয়া যায়।
১৪ শতকের মুসলিম সুলতানেরা নিজেদের বাঙ্গালার সুলতান ডাকতেন। এভাবে বাংলা নামটি অফিসিয়াল অবস্থান পায়।
ব্রিটিশ আমলে কবি সাহিত্যিকদের লেখায় বাংলাদেশ শব্দটি পাওয়া যায়। যেমন সুকান্তের কবিতা
“হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ। কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে, সে কোলাহলের রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ।জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে। হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখন জন্ম নিয়েছে সচেতনতার ধান, গত আকালের মৃত্যুকে মুছে আবার এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ”
কিংবা রবি ঠাকুরের ” আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে ” বা কাজী নজরুলের “নম নম নম বাংলাদেশ মম , চির মনোরম চির মধুর ,বুকে নিরবধি বহে শত নদী চরণে জলধির বাজে নূপুর “
১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আয়োজিত এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। তিনি বলেন, “একসময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে। … একমাত্র ‘বঙ্গোপসাগর’ ছাড়া আর কোন কিছুর নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই। … জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি- আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ!”