এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুরে কাঁচা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতাগণ বিপাকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ (১৬ মে) দিনাজপুর বিরামপুরে কাঁচা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতাগণের অভিযোগ করেন। এবিষয়ে সরেজমিনের জানা যায় যে,আসলেই কাঁচা বাজারে পেঁয়াজের বর্তমান ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই পেঁয়াজ কয়েক দিন আগে ৩০-৩৫ টাকা কেজি ছিল। এবিষয়ে সবজি বিক্রেতার নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন,আমদানি কম হলে আমাদের করার কিছু নেই। ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি চাহিদা অনুযায়ী না হওয়ায় বিরামপুর কলেজ বাজার ও নতুন বাজারে ঘুরে দেখা যায় দাম বেড়ে ক্রেতাগণ বিপাকে পড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা। ফলে প্রকার ভেদে ৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন খুচরা বাজারে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আরও পেঁয়াজ বাজার ঘুরে দেখা যায়,পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। বর্তমান তা বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি চাহিদা মোতাবেক হলে পেঁয়াজের বাজার সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে সকলের মন্তব্য। পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ ক্রেতা ও সাধারণ খুচরা ব্যাবসায়ীরা। পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ক্রেতা হেলাল বলেন,গত এক সপ্তাহ আগেও বাজার থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজ সেই পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজিতে কিনতে হলো। এভাবে দাম বাড়লে আমরা কি করব? এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন,পেঁয়াজের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭০ টাকার পেঁয়াজ এখন পাইকারি কিনতে হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫ টাকা। বিরামপুর বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন,ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে পেঁয়াজের দাম স্মরণীয় অবস্থায় থাকবে। যদি পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় তাহলে দাম কমে যাবে। আমরা পেঁয়াজ পাবনা,নাটোরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমদানি করছি। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তাতে দামও অনেক কমে যাবে। এবিষয়ে উপজেলাধীন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শহরের কাঁচা বাজার গুলোর একই অবস্থা। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাগণ হিমসিম খাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এ বিষয়ে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ক্রেতাগণ।