রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুরে রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রেলের জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা দোকান পাট নির্মাণ ও ভাড়ায় চালিত অনেক স্হাপনা মর্মে এলাকাবাসির অভিযোগ। আজ (১০ মার্চ) বিরামপুর উপজেলা অর্ন্তরগত স্বনামধন্য ডিজিটাল আকারে হতে চলেছে বিরামপুর রেলস্টেশন।
বিরামপুরে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রেল স্টেশনের জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ সহ ঘর দোকানপাট ভাড়ায় চালিত হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। বর্তমান সরকারের সময় দেশের রেল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হলেও দিনাজপুর বিরামপুরে রেলষ্টেশনটির বেহাল দৃশ্য আর নেই হতে চলেছে আধুনিক ডিজাইনের একটি প্লাটফর্ম।
যাত্রী আছে কিন্তু নেই তেমন কোন সেবার উন্নত ব্যবস্থা। তবে এবারে হয়তো হতে পারে এমনই মন্তব্য জনসাধারণের। নতুন ভাবে আধুনিক ডিজাইনে রেলস্টেশন আরম্ভের সাথে রেলস্টেশনের পূর্ব দিকে কিছু বেদখল অংশ উচ্ছেদ করে বাউন্ডারি করছে। কিন্তু রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে দক্ষিণে বিএনপি মোড় পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকা জুড়ে রয়েছে বেদখলের দৃশ্য।
উল্লেখ্য রেল স্টেশনের পশ্চিম হইতে দক্ষিণে রেলের সরকারি জায়গার উপর অবৈধ ভাবে রয়েছে অনেক ঘর বাড়ি ও ব্যবসা স্থাপনা। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিগণ বলেন এখানে সরকারি জায়গার উপর অবৈধ দোকানপাট ঘরবাড়ি করে অনেকে করছে অবৈধ ব্যবসা। পক্ষান্তরে আধুনিক ডিজাইনের রেল স্টেশন সৌন্দর্যে যেমন করে পূর্ব দিকে কিছুটা হলেও ফাঁকা হয়েছে। তেমন পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকেও এমন ফাঁকা না করলে আধুনিক ডিজাইনের রেল স্টেশনের সৌন্দর্য শোভা পাবে না।
অনেকের চাওয়া পশ্চিম ও দক্ষিণে অবৈধ দোকানপাট ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে রেল স্টেশনের শোভা ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান। রেল কর্তৃপক্ষেরের দৃষ্টি আকর্ষণে এলাকাবাসীর জোর দাবি যেন অতি দ্রুত রেল স্টেশনের পশ্চিম দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে অবস্থান রত ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। আর তা না হলে দিন দিন বেদখল হয়ে যাবে রেল স্টেশনের আশপাশের সরকারি জায়গা। ভৌগলিক দৃষ্টিকোণ থেকে নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট,হাকিমপুর ও বিরামপুর এই ৪টি উপজেলার যাত্রীদের রেল ভ্রমণের একমাত্র পন্থা বিরামপুর রেল ষ্টেশন। রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীন মনোভাবের কারণে গত ৬ মাস যাবৎ পূর্বজগন্নাথপুর কলোনীপাড়া ও স্টেশন হতে দক্ষিণ দিকেও অবৈধভাবে স্হাপনার দৃশ্যমান।
এ বিষয়ে ষ্টেশন মাষ্টার সহ পাকশী রেল কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার ফোনে কথা বলা হলেও তারা করোনা ভাইরাসের অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। অন্যদিকে থেমে নেই অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ। স্থানীয় সচেতন মহল বলেছেন,রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে পরবর্তী সময়ে জায়গার অভাবে ভেস্তে যেতে পারে ষ্টেশনের উন্নয়ন কাজ। এতে বিরামপুর রেল স্টেশনটির আধুনিকায়ন হতে বঞ্চিত হতে পারে বলে মনে করছেন সতেচন মহল। এখনই উক্ত বিষয়ে সঠিক তদারকি গ্রহণ করলেই জনসাধারণ ফিরে পাবে একটি আধুনিক ডিজাইনের রেল স্টেশন।।