বেরোবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন/ ১৩ থেকে ১৪ পদার্পণ করলো বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগ

বেরোবি সংবাদদাতা
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ১৩ শেষ করে ১৪ বছরে পদার্পণ করলো।
দিবসটি উপলক্ষে ২১ জানুয়ারি, মঙ্গলবার দিনব্যাপী নানা আয়োজন করে বিভাগটি। বেলা ১২টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা করেন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। বেলুন উড়িয়ে এটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে বাংলা বিভাগের গ্যালারিতে বিভাগটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘একবিংশ শতাব্দীতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় বিভাগীয় প্রধান জনাব মো. তাবিউর রহমান প্রধানের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জনাব ড. মো. শওকাত আলী। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রত্যাশা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের কাছে পজিটিভ  ব্র্যান্ডিং করার ক্ষেত্রে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি। ‘ এছাড়া বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের তথ্য ক্যাডারকে টেকনিক্যাল পদ হিসেবে ঘোষণা করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা দরকার বলেও দাবি করেন তিনি। প্রয়োজনে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই একটা মুভমেন্ট গড়ে তোলা যায় কিনা ভেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনায় দেশের বিশিষ্ট যোগাযাগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান নিজের জীবনের গল্প শুনিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করে বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিভাগ। এখানে পড়াশোনা করে আপনারা যেকোনো ক্ষেত্রে কাজ করার বিস্তর সুবিধা পাবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান বলেন, “যোগাযোগ মূলত মানুষের মনকে জয় করার পন্থা। কার্যকর যোগাযোগের অভাবে সমস্যার সৃষ্টি হয়।সরকার থেকে শুরু করে আমাদের সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গায় যোগাযোগের অভাবে মুলত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।”
এ সময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাজ্জাদুর রহমান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
Exit mobile version