বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব আর রবীন্দ্র জাদেজা-এই স্পিনত্রয়ীতে কিউইদের নাভিশ্বাস ছোটাল ভারত। রবীন্দ্র-উইলিয়ামসনরা মোটেও হাতখুলে খেলতে পারলেন না। স্পিনজালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ৫০ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫১।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা মন্দ হয়নি। দুই ওপেনার উইল ইয়াং এবং রাচিন রবীন্দ্র মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেছিলেন ৫৭ রান। এরপরই শুরু ভারতীয় স্পিনারদের ‘ম্যাজিক শো’।
ভারতের যে রহস্য স্পিনারকে নিয়ে ভয় পাচ্ছিলেন কিউই কোচ গ্যারি স্টিড, সেই বরুণ চক্রবর্তীই প্রথম আঘাত হানেন। তার লেগব্রেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন কিউই ওপেনার ইয়াং (১৫)।
এরপর নিউজিল্যান্ডের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসনকে সাজঘরের পথ চেনান আরেক স্পিনার কুলদীপ যাদব। তার গুগলি বুঝতে ব্যর্থ হয়ে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি ৩৭ রান করা রবীন্দ্র। আর ১১ রান করেই কুলদীপকে ফিরতি ক্যাচ দেন অভিজ্ঞ উইলিয়ামসন।
স্বল্প বিরতিতে ৩ উইকেট হারানোর পর নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন টম ল্যাথাম এবং ড্যারিল মিচেল। চতুর্থ উইকেটে ধীরপায়ে ৩৩ রানের একটি জুটি গড়ে তোলেন তারা। তাদের জুটিতেই একশ ছাড়ায় কিউইদের ইনিংস। তবে এই জুটি বিপজ্জনক হওয়ার আগেই ভেঙে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। ল্যাথামকে (১৪) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এই অলরাউন্ডার।
পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ফের জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মিচেল। ভারতীয় বোলারদের হতাশা বাড়িয়ে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় তাদের জুটি। কিন্তু ফের ‘জোড়ি ব্রেকার’ হিসেবে আবির্ভূত হন রহস্য স্পিনার বরুণ। ফিলিপসের (৩৪) স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে আবার নিউজিল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি।
মিচেল তবু মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। ৯১ বলে ছুঁয়েছেন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের মন্থরতম ফিফটি। এরপরও অবশ্য খোলস ছাড়াতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ শামির বলে রোহিত শর্মার হাতে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি। ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ১০১ বলে ৩ চারে ৬৩ রান।
শেষদিকে মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৪০ বলে খেলা ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে আড়াইশ পার করতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট গেছে কুলদীপ এবং বরুণের ঝুলিতে। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি।