পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করে বলেছেন, বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হাইজ্যাকের মূল মদদদাতা ছিল ভারত। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
এদিন বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ভারতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আনেন।
গত ১১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরিত হয়। এরপর ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ওই ট্রেনে হামলা চালায়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ জানান, সন্ত্রাসীরা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছিল। একদল নারী ও শিশুদের ট্রেনের ভেতর আটকে রেখে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, অন্যদল যাত্রীদের বাইরে টেনে নিয়ে যায় এবং জিম্মি করে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়।
পাকিস্তানের ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) ‘জরর কোম্পানি’ বেলুচিস্তান ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততার সঙ্গে একটি পরিকল্পিত অভিযান পরিচালনা করে। যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ৩৩ সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হয় এবং সব জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় কোনো বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, যদিও অভিযানের আগে কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআর প্রধান বলেন, হামলাকারীরা আফগানিস্তানে অবস্থিত হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল এবং তারা বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করছিল। তিনি বলেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং একটি বৃহত্তর সীমান্ত সন্ত্রাসী পরিকল্পনার অংশ।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ জোর দিয়ে বলেন, এ ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও তৈরি করেছে, যা পরে ভারতীয় সংবাদ চ্যানেলগুলোতেও প্রচারিত হয়।