প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে
আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের
গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭,
চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী,
অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের
ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম
হয়েছে।
২। গত ২৫ মে ২০২২ খ্রি. তারিখে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল কতিপয় কুখ্যাত
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ধুমঘাট এলাকায়
পৌছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা কয়েকটি দল একত্রিত হয়ে র্যাবের গাড়ীকে
বেরিকেট দেওয়ার চেষ্ঠা করে। সেখানা তারা বেরিকেট দিতে ব্যার্থ হলে পরবর্তীতে জোরারগঞ্জ
ফুটওভার ব্রীজের নিচে ০২টি কার্ভাডভ্যান রেখে রাস্তা বন্ধ করে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে
গুজব ছড়িয়ে আতংক সৃষ্টি করে ও দুস্কৃতিকারীরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে র্যাবের উপর অতর্কিত
সশস্ত্র হামলা করে। উক্ত হামলায় দুস্কৃতিকারীরা র্যাবের ব্যবহিত একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর এবং ০২
জন র্যাব সদস্যকে গুরুতর আহত করে।
৩। এ ঘটনায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও দুস্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক
গোয়েন্দা নজরদারী এবং গভীর ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ
এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ মে ২০২২ খ্রি. তারিখ চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ এবং ফেনী
জেলার ছাগলনাইয়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জনকে
মাদকদ্রব্যসহ আটক করে।
৪। উল্লেখিত ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও মূলহোতা মোঃ শাকিল ঘটনার পরপরই গ্রেফতার
এড়াতে মধ্যরাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে এবং দীর্ঘ ০২ মাস গ্রেফতার
এড়াতে ভারতে আত্মগোপন করে ছিল। গত ২৬ জুলাই ২০২২ইং তারিখে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত আসামী কর্ণফুলী সেতুর টোল প্লাাজা এলাকায় অবস্থান
করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ জুলাই ২০২২ইং তারিখ ১৫৪০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর
একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাকিল (২৮), পিতা-
মোঃ ইউনুছ, সাং-চম্পকনগর, থানা-ছাগলনাইয়া, জেলা-ফেনীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৫। উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম
জেলার জোরাগঞ্জ থানায় এবং ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানায় মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ
বিভিন্ন অপকর্মের সর্বমোট ০৬ টি মামলা পাওয়া যায়।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট
থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।