মোহাম্মাদ সোহেল,টাংগাইল ভূঞাপুর প্রতিনিধি;
ছেলে জাহিদুল ইসলামকে হারিয়ে আক্ষেপেয় মা জাহানার বেগম কান্না আর আহাজারিতে ভেঙে পরে,
সেদিন সন্ধ্যায় বের হলে কয়েক ঘণ্টা পর পোলাডারে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করা হয়। যারা হত্যা করছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসি দাও। তা না পারলে, তোমরা পোলাডারে আইনা দাও।
রবিবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টা সময় বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচিতে,বক্তব্য রাখেন- বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. মো. সাইফুল ইসলাম লোটন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, শিক্ষক লিয়াকত হোসেন, শাহীনা আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বিপ্লব, আনন্দ টিভির সাংবাদিক আল-আমিন শোভন, সাবেক ইউপি সদস্য মিনহাজ উদ্দিন, এলাকাবাসীর পক্ষে শাহীন মিয়া,নিহতের বাবা-মা সুজন তালুকদার ও জাহানারা বেগম প্রমূখসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া উপস্থিত বক্তারা বলেন এটি দুঃখজনক। যারা জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেফতার করে বিচারে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব।
এর আগে বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-গোপালপুর সড়কের পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের পাঁচটিকড়ি স্কুলের পাশে তাকে হত্যা করে দুবৃত্তরা। জাহিদুল ইসলাম ভূঞাপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী সুজন তালুকদারের ছেলে। সে বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিল।জানা যায়, পড়াশোনার খরচ ও পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করতে প্রতিবন্ধী বাবার অটোভ্যান নিয়ে আয়-রোজগারের আশায় বের হয়েছিলেন জাহিদুল ইসলাম (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র। সেই অটোভ্যান নিয়ে বের হওয়াই কাল হলো তার।ধারনা করা হচ্ছে অটোভ্যানটি ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রাস্তার পাশে পড়ে থাকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর মরদেহ।পরে স্থানীয়রা অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে পুলিশকে খবর দেয়।
জাহিদুলের সহপাঠী ও শিক্ষার্থী,মানববন্ধনে অংশ নেওয়া উপস্থিত বক্তারা বলেন এটি দুঃখজনক। যারা জড়িত রয়েছে তাদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেফতার করে বিচারে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব।