মাদারগঞ্জে মৎস আড়ৎ ব্যবসায়ীর ওপর সমন্বয়কের হামলার অভিযোগ

মাসুদুর রহমান, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মাদারগঞ্জে মৎস আড়ৎ ব্যবসায়ীর ওপর সমন্বয়কের হামলার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় মৎস আড়ৎ ব্যবসায়ী জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে ২ সমন্বয়ক সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ৭/৮ অজ্ঞাত দিয়ে মাদারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  অভিযোগের আসামীরা হলেন  বাকুরচর গ্রামের মো: হাইদর আলীর ছেলে মো: আনন্দ (২৭),  নজরুল ইসলামের ছেলে  মো: বিজয় (২৬), মো: কমন মিয়া (২৫),  মো: ভান্ডারীর ছেলে মনির(২২)।  এদিকে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী)  সকাল ১১ টায় মাদারগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারগঞ্জ থানা মোড় এলাকায় মৎস আড়ৎ এর ব্যবসা করে আসছেন বালিজুড়ী এলাকার মো: ইউসুফ আলীর ছেলে মো: জান্নাতুল ফেরদৌস (২৯)। প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার মাছের আড়ৎ এর হিসাব নিকাশ শেষ করে ক্যাশ নিয়ে বাড়ীর উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলে দুপুর আড়াইটায় বেলের চায়ের দোকানের সামনে ফাকা জায়গা পৌছালে  হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গুরুত্বর আহত করে  তাকে । এ ছাড়াও  তার ডান হাতে থাকা শপিং ব্যাগটির মধ্যে  চার লক্ষ বিশ হাজার ও প্যান্টের পকেটের দুই লক্ষ ছিনতাই  করে নিয়ে যায় হামলকারীরা ।  পরে স্থানীয়রা আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়।  এদিকে ব্যবসায়ী জান্নাতুল ফেরদৌসের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখা গেছে।
এ বিষয়ে হামলায় আহত ব্যবসায়ী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গত ৫ আগস্টের আগে বিজয় ছাত্রলীগের কর্মী ছিল। বর্তমানে তিনি সমন্বয়ক। আর রুমনের বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। রুমন নিজেও সমন্বয়ক।  তারা সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাদাবাজি করে।  তিনি আরো জানান, এদের সাথে ১০/১২ জন ছিল। এরা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।  আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তবে সমন্বয়ক বিজয়ের সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে মাদারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন শুক্রবার দুপুর ১২ টায় জানান, অভিযোগ পেয়েছি।  এসআই আশরাফুল ইসলাম তদন্ত করছে।  প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিললে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Exit mobile version