যশোরে আবু সিদ্দিক হত্যা!!  লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিলনসহ  ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

যশোর প্রতিনিধি :
যশোর সদরের বালেশ্বরপুর গ্রামের আবু সিদ্দিককে হত্যার অভিযোগে লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদরের কাঠামারা গ্রামের মৃত হায়দার আলী বিশ্বাসের ছেলে নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন ইদু বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়ালি ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ অভিযোগের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা প্রতিবেদনসহ আদালতে জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সামসুজ্জামান রানা।অপর আসামিরা হলো, সদরের আন্দোলপোতা গ্রামের মৃত মতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে তরিকুজ্জামান রিপন, মৃত মোনিম মোল্যার তহিদুল, মৃত সিফাতুল্যা বি^সের দুই ছেলে সাক্কার ও বাক্কার, মৃত জবেদ আলীর ছেলে ইমদাদুল, মৃত আরশাদ গাজীর ছেলে রবিউল গাজী, আলা সরদারের ছেলে নিছার আলী, আলী উদ্দিন সরদারের ছেলে আলি আজগর, গহেরপুর গ্রামের হোসেন মোল্যার ছেলে ময়নুদ্দিন ময়না, এনায়েতপুর গ্রামের মোকছেদের ছেলে খায়রুল, তেজরোল গ্রামের মৃত জোতিন ঘোষের ছেলে নব কুমার লব ঘোষ, জগমোহনপুর গ্রামের নজিরের ছেলে বুলু, দলেননগর গ্রামের সরোয়ারের ছেলে রোকন,  বাঘারপাড়ার কুটারাকান্দি গ্রামের বিষু মোল্যার ছেলে কামরুজ্জামান ও কৃষ্ণনগর গ্রামের দাউদের ছেলে এরশাদ।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আবু সিদ্দিক বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তিনি গরুর খামার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আসামিরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আসামিরা আবু সিদ্দিককে মারার জন্য আন্দোলপোতা বাজারের আব্বাসের চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। আবু সিদ্দিক বাজারে না আসায় আসামি আলিমুজ্জামান মিলনের নেতৃত্বে অপর আসামিরা তার বাড়িতে চড়াও হয়। আবু সিদ্দিক আসামিদের উপস্থিতিতে টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। আসামিরা আবু সিদ্দিককে ঘরে না পেয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরমধ্যে বাড়ির পাশে বাগানে আবু সিদ্দিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ধাওয়া করলে জীবন বাঁচাতে চিত্রা নদীতে ঝাপ দেয়। আসামিরা পানিতে নেমে আবু সিদ্দিককে ধরে এনে মারপিট করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে গহেরপুরস্থ রহিমা ক্লিনিকের দক্ষিণপাশের রাস্তা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আবু সিদ্দিককে উদ্ধার করা হয়। আবু সিদ্দিককে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে রাত ১০ টার দিকে খাজুরা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মারা যায়। আসামিদের ভয়ে মৃত আবু সিদ্দিককে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ফুলবাড়ি গ্রামে তার মামাত ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামিরা সংবাদ পেয়ে ফুলবাড়ি গ্রাম থেকে আবু সিদ্দিকের লাশ বালেশ্বরপুর নিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে দাফন সম্পন্ন করে। এ ঘটনার পর আসামিদের ভয়ে নিহত আবু সিদ্দিকের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়ি ফিরতে পারেনি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আসায় তিনি ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে আদালতে এ মামলা করেছেন।
Exit mobile version