—যৌতুক লাগবে ১২ লক্ষ টাকা তবেই এই বিয়ে হবে?

—এতো টাকা তো নেই! একটু কম করলে হয়না।
—বাহ্ সরকারি চাকরিয়ান ছেলে খুজবা? আবার টাকার বেলায় কম কেনো।
—ঠিক আছে আপনার কথাই থাকলো ১১ লক্ষ টাকা দিবো। কবে বিয়ে সেটা এখন বলুন?
—আজকেই বিয়ে?
—আজকে আবার সম্ভব নাকি। একটি দিন তারিখ ঠিক করে বিয়েটা দিলে হয়না।
—সমস্যা নেই আজকে বিয়ে হোক? আবার ২/৩ মাস পরে বিয়েটা ধুম ধাম ভাবেই দিয়েন।
—ছেলের বাবা কথা শুনে আজাহার সাহেব রাজি হয়ে যায়। কারন এমন ছেলে যদি আবার হাত ছারা হয়ে যায় তখন আবার আরেক সমস্যা?
—ঠিক আছে আমি রাজি।
—তো দেরি কেনো মেয়েকে ডাকুন আর কাজি কে খবর দিন।
( সবাই ভাবতেছেন কি হচ্ছে তার না তবে শুনুন. আজাহার সাহেবের মেয়ে লামিয়া যাকে বিয়ে দেয়া হবে। এই জন্যে পত্র দেখা হচ্ছিলো কিন্তু তেমন ভালো পাত্র খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না । তার পরে অনেক খোজা খুজির পরে একজন সরকারি চাকরি করে এমন ছেলে খুজে পাওয়া গিয়েছে। তারা আজ সহো পরিবারে আজহার সাহেবের মেয়েকে দেখতে এসেছে। দেখা শেষ করে তারা জানায় মেয়ে কে পছন্দ হয়েছে। কিন্তু বিয়ের জন্যে দেনমহর / যৌতুক লাগবে ১২ লক্ষ টাকা। তার পরে দেখলেন কি হলো )
—তো এর পরে আজাহার সাহেব মেয়ে কে রেডি করে? কাজি কে ডাক দিয়ে নিয়ে এসে বিয়েটা সম্পূর্ণ করে। এর পরে ছেলে পক্ষ লামিয়াকে নিয়ে চলে যায়।
—এর পরে লামিয়া শশুর বাড়িতে এসে জানতে পারে যে তার স্বামী পরিবারে ৪ জন ব্যক্তি এক হলো অভ্র যে কিনা লামিয়ার স্বামী । ২ তার একটি বোন আছে যার বিয়ে হয়েছে ৬ মাস হলো আর বাবা মা এই ৪ জন নিয়েই ওদের পরিবার।
–তো এই ভাবে দেখতে দেখতে ৩ দিন হয়ে যায় বিয়ের। হঠাৎ অভ্র এসে বলে?
অভ্র : লামিয়া তোমার বাবা কে ফোন করে বলো। আমার স্বামী ব্যবসার কাজে টাকা লাগবে যৌতুকের ১২ লক্ষ টাকা এখনি বলতে আজকে লাগবে।
—এই কথা শুনে লামিয়া বেশ অবাক হয়। কারন বিয়ের ৩ হলো না সম্পুর্ণ ভাবে তাতেই যৌতুক চাচ্ছে।
লামিয়া : এখনো ৩ দিন হলো না তাতেই টাকা লাগবে।
অভ্র : হুমম?
—তো এর পরে লামিয়া তার বাবা কে ফোন দিয়ে সব খুলে বলে। এই সব শুনার পরে আজাহার সাহেব প্রথমে রাজি হয়নি। কিন্তু যখন অভ্রর বাবা বলেছে টাকা না হলে ডিভোর্স দেয়া হবে লামিয়াকে। তখন কোন উপায় না পেয়ে অনেক কষ্ট করে ১২ লক্ষ টাকা ম্যানেজ করে পাঠিয়ে দেয়। শুধুমাত্র মেয়েটি শুখে যেনো থাকতে পারে এই জন্যে।
—টাকা পাওয়ার সাথে সাথেই অভ্র টাকা গুলা ব্যবসার কাজে লাগিয়ে দেয়। সবাই ভাবতে পারেন ব্যবসা মানে অভ্র তো সরকারি চাকরি করে? তবে শুনুন চাকরির পাশা পাশি অভ্র একটি ব্যবসাও করে।
—এর পরে এই ভাবে লামিয়ার দিন কাটতে লাগলো। একদিন সকাল বেলায় লামিয়া অভ্র ও অভ্রের বাবা মা এক সঙ্গে বসে খাইতেছিলো। ঠিক সেই সময় অভ্রের বোন বিনিতা কান্না করতে করতে বাসায় ডুকে।
—এটা দেখে তো সবাই বেশ অবাক। বিনিতা শশুর বাড়িতে থাকার কথা কিন্তু এখানে কেমনে। তাও আবার কান্না করা অবস্থায়।
অভ্র : বোন তোর কি হয়েছে। কান্না করছিস কেনো।
বিনিতা : ভাইয়া আমার স্বামী আমাকে আজ ডিভোর্স দিয়েছে। সাথে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
অভ্র : কেনো?
বিনিতা : কারন তোমরা যৌতুকের ৭ লক্ষ টাকা দিতে পারো নাই এই জন্যে।
অভ্র : কি বলিশ এই সব?
বিনিতা : হুম ভাইয়া। তোমাদের বিয়ের পর থেকে বলতেছি কিন্তু তোমরা কেউ টাকা দিচ্ছো না তাই অধৈর্য্ হয়ে আজ আমাকে ডিভোর্স দিছে।
—বিনিতার মুখে এই কথা শুনে তো অভ্র সহো সবাই বেশ অবাক হয়ে যায়। আর ভাবতে থাকে এখন কি হবে।
—এই দিকে আবার লামিয়া মনে মনে ভিষন খুশি হয়। কারন তাকে ও এমন ডিভোর্সের ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়া হয়েছে।
—এই গল্পে একটা জিনিসে বুজলাম সেটা হলো আল্লাহ্ ছার দেয় কিন্তু ছেরে দেয়না
—যাই হোক প্রিয় পাঠক ও পাঠিকারা যৌতুক দেয়া বা নেয়া দুইটাই দন্ডনিয় অপরাধ? আমরা এই সব থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।
যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন সাহিত্য ডাইরি
Exit mobile version