স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে কেনিয়ার একটি অরণ্যে বন্যপ্রাণী দেখতে গিয়েছিলেন প্রিন্সেস অব ইয়র্ক দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ঘুম থেকে উঠে শুনলেন, বদলে গেছে তার খেতাব। তিনি এখন ব্রিটেনের রানি। কারণ তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা গেছেন।
১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার ৭০ বছর পেরিয়ে গেছে। ব্রিটেনের রানি হিসেবে দ্বিতীয় এলিজাবেখের রাজত্বকালের ৭০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী রোববার। তিনিই বিশ্বের প্রথম কোনও রাজপরিবারের সদস্য, যিনি এত দীর্ঘ সময়কাল ধরে কোথাও রাজত্ব করছেন। রানি হিসেবে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেন। বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স ৯৫।
আজকের আধুনিক ব্রিটেনের পাশাপাশি তিনি ‘গ্রেট ব্রিটেনের’ সাম্রাজ্যবাদী অতীতের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে বেঁঁচে আছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। দীর্ঘ ৭০ বছরের রাজত্বকালে ব্রিটেনের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের একজন মূল কারিগর হিসেবে নিজের ছাপ রেখেছেন। তাকেই ব্রিটেন রাজপরিবারের সব থেকে জনপ্রিয় সদস্য হিসেবেও মনে করা হয়। যদিও বারবার বিভিন্ন সময়ে তার গদি ছাড়ার পক্ষে সরব হন ব্রিটেনবাসী।
রানি হিসেবে সিংহাসনে বসার দিনটি কখনোই কোনো জমকালো আনুষ্ঠানিকতায় পালন করেন না দ্বিতীয় এলিজাবেথের। কারণ ওই দিনটি তার বাবা আলবার্ট ফ্রেডেরিক আর্থার জর্জের (রাজা ষষ্ঠ জর্জ)।এবারও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আগামী রোববার (৬ ফেব্রয়ারি) বাবাকে স্মরণ করে প্রার্থনার জন্য।
অবশ্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৭০ বছরের রাজত্বকালের পূর্তি উপলক্ষে জুনের শুরুতে ৭চার দিনের উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি সামরিক কুচকাওয়াজ এবং একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজনও থাকবে। তার এই কীর্তিকে চিরস্মরণীয় করে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই স্মারক মুদ্রাও তৈরি করা হয়েছে। এই বছর ক্রিসমাস এবং নববর্ষে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে তার ‘স্যান্ড্রিংহাম’ প্রাসাদে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রিটেনে ওমিক্রনের দাপটে এই সফর স্থগিত করা হয়।