মাসুদুর রহমান – পাবনা র্যাবের ২৪ ঘন্টাব্যাপী অভিযানে ধর্ষন মামলার আসামো সেলিম রেজা (২৯) নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার মুসুড়িয়াপাড়া এলাকার মো: আব্দুল গফুরের ছেলে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ এহতেশামুল হক খান।
জানা যায়, প্রতারক সেলিম রেজা বিভিন্ন সময় একাধিক নামে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মেয়েদের টার্গেট করে যোগাযোগ স্হাপন করত। পরবর্তীতে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগী মেয়েদের সাথে হোটেল,রেস্টুরেন্টে দেখা করে তাদের সাথে ক্লোজ ছবি এবং ভিডিও নিজ মোবাইলে ধারন করে সংরক্ষন করত। অতঃপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে ভোক্তভোগীদেরকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্হাপন করত এবং টাকা দাবী করত। লোকলজ্জা, সম্ভ্রমের ভয়ে ভুক্তভোগী মেয়েরা বিভিন্ন সময় সেলিমের দাবী পূরন করতে বাধ্য হত।
র্যাব আরো জানায়, আজ থেকে অনুমান ১ বছর পূর্বে ঢাকার এক বিবাহিত মেয়ের সাথে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে শুরু হয় সেলিমের প্রতারনা এবং ব্ল্যাকমেইলিং। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী মেয়েকে নিয়ে আলাদা বাসা ভাড়া করে সেলিম এবং ১ বছর যাবৎ নিয়মিত ঐ বাসায় বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে । গোপনে সেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোর ভিডিও নিজ মোবাইলে সংরক্ষন করে রাখে। একসময় ভূক্তভোগী মেয়ে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ এবং পুলিশে জানাবে বললে সেলিম ঐ বাসা থেকে পালিয়ে যায় এবং মেয়ের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী মেয়ে সেলিমের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন মুসুড়িয়াপাড়ায় বাসায় এসে অবস্থান করলে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেলিমের পরিবার থেকে কোনরূপ সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে ভূক্তভোগী তার নিজ থানায় ধর্ষন মামলা করে।ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করায় এবং থানায় মামলা হওয়ায় ধর্ষক, প্রতারক সেলিম রেজাকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পাবনা র্যাবের একটি আভিযানিক দল। কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ এহতেশামুল হক এর নেতৃত্বে র্যাবের আভিযানিক দলটি ২৪ ঘন্টা ব্যাপী দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে পাবনা শহরের হামিদ উদ্দিন রোডের “মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টার”নামক প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ২৭ মার্চ ১২ : ৫০ মিনিটে ধর্ষক সেলিম রেজাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। উক্ত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।