লক্ষ্মীপুরে বেড়েছে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার কারণে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে রোগটির ১৫-১৬ ধরন। চর্মরোগের এসব ধরন নিয়ে প্রতিদিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫০০-৭০০ রোগী। এছাড়া জেলার প্রায় সব উপজেলায় আরো ৪০০-৫০০ রোগী বেসরকারিভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সব বয়সী মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন এ রোগে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত বছর সদর হাসপাতালে প্রায় ৩৫ হাজার রোগী চর্মরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। এবার রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ। তবে বেসরকারিভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ২০-২৫ হাজার রোগী। ১৫-১৬ ধরনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের আসছেন এসব রোগী।
সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ১২০০ রোগী টিকিট নিতে আসেন। এর মধ্যে ৭৫-৮০ ভাগ হচ্ছেন চর্মরোগী। ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রেও একই চিত্রের দেখা মেলে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালে চর্মরোগের কোনো চিকিৎসক নাই। তবে মেডিসিন চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনো অবহেলা করা হচ্ছে না।
ঢাকা ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেহের হোসেন বলেন, চর্মরোগ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সঠিক নিয়মে ওষুধ ব্যবহারে পর্যায়ক্রমে ভালো হবে। মানতে হবে নিয়ম-কানুন। চলতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে। শিশুদের ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের গুরুত্ব দিতে হবে।