শাহরাস্তিতে রিনার খুনী ৭২ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার

হাসান আহমেদ বাবলুঃ
শাহরাস্তি উপজেলার সুরসই গ্রামে গৃহবধূ রিনা আক্তার খুন হওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত তার স্বামী হাবিবুর রহমানকে আটক করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। ২০ নভেম্বর সকালে উপজেলার হোসেনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্ধ্যার শাহরাস্তি থানা পুলিশের প্রেস কনফারেন্সে সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) রেজওয়ান সাঈদ জিকো জানান, গত ১৭ নভেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার সুরসই এলাকায় গৃহবধূ রিনা আক্তার খুন হওয়ার পর থেকে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার ৭২ ঘন্টা ও মামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই প্রধান আসামি হাবিবুর রহমানকে আটক করে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। রেজওয়ান সাঈদ জানান, গত দুমাস পূর্বে হাবিব রিনা আক্তার কে বিবাহ করে। বিবাহর পর গত ১৭ অক্টোবর রিনা আক্তার তার স্বামী হাবিবুর রহমানকে কোন কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এক মাস পর ১৭ নভেম্বর রিনা আক্তার তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে হাবিব উত্তেজিত হয়ে ছুরিকাঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপর পাঁচ জনকে আসামি করে রিনা আক্তারের পিতা লুৎফর রহমান শাহরাস্তি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, হাবিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রিনা আক্তারের ব্যবহত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এবং হত্যার কাজে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায় , হাবিব মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত তিনি দীর্ঘদিন ধরে কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। তার আগের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর তিনি কয়েকদিন কারাগারে ছিলেন। এরপর তিনি গত দুই মাস আগে রিনা আক্তার কে বিবাহ করেন। বিবাহর পর তার সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল। অনেকেই জানান রিনা টিকটিকের সাথে জড়িত ছিল। এর আগেও রিনার বিবাহ হয়।
থানা পুলিশের প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) মোঃ খাইরুল আলম, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব ও গনমাধ্যমের কর্মী বৃন্দ।

Exit mobile version