শীতের শুরুতেইে দুমকিতে অলিগলিতে বসেছে পিঠার পসরা

দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ নানা কারণে এখন আর আগের মতো ঘরে ঘরে শীতের পিঠা তৈরি হয় না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুমকিতে বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তার মোড়ে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের শীতের পিঠা। একটি চুলা থেকে কেউ কেউ আটটি চুলায় একসঙ্গে পিঠা তৈরি করছেন। সঙ্গে থাকছে নানা ধরনের ভর্তা।
জানা গেছে, দুমকি নতুন বাজার, পীরতলা বাজার, থানা ব্রিজ, রাজাখালী, বোর্ড অফিস বাজার, তালতলি বাজার, চরগরবদি ফেরিঘাট, কদলতলা বাজার, পাতাবুনিয়া বাজার, আঙ্গারিয়া বাজার, সাতানি কালবার্ড বাজার,পাগলা মোর পায়রা পয়েন্ট,  জামালা বাজার, বুদ্ধি জীব বাজারসহ প্রায় একশত স্থানে ভ্রাম্যমাণ চুলা বসিয়ে নানা ধরনের পিঠা বিক্রি হচ্ছে। অনেকে ভ্যানগাড়িতে করে ঘুরে ঘুরে আবার নির্দিষ্ট জায়গায় থামিয়েও পিঠা বিক্রি করছেন। সুবিধামতো চুলা বসিয়ে পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, চাপড়ি, পাকন, মুঠি পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, ছিট রুটিসহ নানা ধরনের পিঠা বানানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় চিতই আর ভাপা পিঠা। চিতই পিঠার সঙ্গে দেওয়া হয় শুঁটকি, ধনেপাতা, সরিষা, বাদাম, কালোজিরা, মরিচসহ নানা ধরনের ভর্তা। আর ভাপা পিঠা তৈরি করা হয় খেজুরের গুড়, নারিকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে সন্ধ্যা হলেই বাড়তে থাকে ক্রেতা।
রাত ১১ পর্যন্ত চলে এই বেচা-কেনা। শীত মৌসুমে এক শ্রেণির মানুষ অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় পিঠা বিক্রির টাকা দিয়েই সংসারের যাবতীয় খরচ বহন করেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস চিতই পিঠা ১০ টাকা, ভাপা পিঠা ১৫ টাকা করে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এতে একেকজন পিঠা বিক্রেতার দিনে আয় ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রায় তিন থেকে চার মাস তাদের জীবিকা নির্বাহ হবে এই পিঠা বিক্রি করে।
পিঠা ক্রতা কেয়া আক্তারের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘আমি একটি কলেজে  চাকরি করি। পিঠা বানানোর সময় পাই না। তাই পরিবারের জন্য রাস্তার পাশ থেকেই চিতই পিঠা কিনে এনেছি। সঙ্গে সরিষা, শুঁটকি ও ধনিয়া পাতার ভর্তা এনেছি। সবাই অনেক মজা করে খেয়েছে।
দুমকি নতুন বাজার  এলাকার পিঠা বিক্রেতা বিলকিস  বেগম বলেন, শীত এখনও তেমন পড়েনি। তারপরও পিঠা ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত বেশি পড়লে পিঠা বিক্রিও বেশি হবে।
এ বিষয়ে প্রেসক্লাব দুমকির সাবেক সভাপতি ও প্রবিন সাংবাদিক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন সুমন বলেন, পিঠা বাঙালির খাবারের মধ্যে একটি ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া, ব্যস্ততাসহ নানা কারণে এখন আর ঘরে ঘরে আগের মতো পিঠা বানাতে দেখা যায় না। তবে বর্তমানে দুমকিতে শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও জনবহুল জায়গায় ভ্রাম্যমাণভাবে এক শ্রেণির মানুষ পিঠা বিক্রি করছেন। এতে করে আমাদের চাহিদা মিটছে পাশাপাশি পিঠার ঐতিহ্য কিছুটা হলেও ফিরে এসেছে।
##
Exit mobile version