শেষ ওভারে গিয়ে মোস্তাফিজদের হারালো লখনউ

৪ ওভারে মোস্তাফিজ ২৬ রান দিলেও কোন উইকেট নিতে পারেননি

মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম তিন ওভারে ছিলেন যথেষ্ট হিসেবি। রান দেননি সেভাবে। লখনউ ম্যাচ জয়ের পথে থাকলেও দিল্লির বোলিং তাদের একটা সময় শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু লখনউকে চাপে রাখার মুহূর্তেই বেহিসেবি হয়ে পড়েন কাটার মাস্টার। ১৯তম ওভারে দিয়েছেন ১৪ রান! তাতে ওই ওভারেই নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। আইপিএলে শেষ ওভারে ২ বল হাতে রেখে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস।

শুরুতে টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠায় লখনউ। তাদের ৩ উইকেটে ১৪৯ রানে আটকে রাখতে সক্ষম হয় লোকেশ রাহুলরা। ওপেনার পৃথ্বী শ’য়ের ৩৪ বলে করা ৬১ রান ছিল ইনিংসের মূল আকর্ষণ। এছাড়া অধিনায়ক ঋষভ পান্ত ৩৬ বলে ৩৯ ও সরফরাজ খান ২৮ বলে ৩৬ রান করতে পেরেছেন। লখনউর বোলারদের মধ্যে রবি বিষ্ণয় ২২ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। ২৩ রানে একটি নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌথাম।

জবাবে কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে লখনউর। ম্যাচসেরাও হন তিনি। ডি কক-লোকেশ রাহুলের ওপেনিং জুটিতে উঠেছে ৭৩ রান। দশম ওভারে রাহুল ২৪ রানে ফেরার পর এভিন লুইসও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তার পরেও দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি ডি ককের। কিন্তু কুলদীপ যাদব ৫২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরালে লখনউর জয় নিয়ে সংশয় জাগতে শুরু করে। কারণ, হঠাৎ ছন্দ পতনে বেড়ে যাচ্ছিল রানের চাপও। এক পর্যায়ে ১২ বলে প্রয়োজন পড়ে ১৯ রান। আগের তিন ওভারে মাত্র ১২ রান দেওয়া মোস্তাফিজ তখন বল করতে এসে কাঙ্ক্ষিত কাজটি করতে পারেননি। হিসেবি হওয়ার বদলে দিয়ে ফেলেন ১৪টি রান। হজম করেন একটি ছক্কাও। শেষ ওভারের প্রথম বলে দীপক হুদার উইকেট পড়লেও জয় ছিনিয়ে আনতে ভুল করেননি নতুন নামা ব্যাটার বাদোনি। ৪ উইকেট পড়ে যাওয়া লখনউর জয় নিশ্চিত করেন একটি চার ও একটি ছয় মেরে।

৪ ওভারে মোস্তাফিজ ২৬ রান দিলেও কোন উইকেট নিতে পারেননি। ৩১ রানে দুটি উইকেট নেন দিল্লির কুলদীপ যাদব। একটি করে নেন ললিত যাদব ও শার্দুল ঠাকুর। সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন আইনরিখ নর্কিয়া। ২.২ ওভারে কোনও উইকেট না নিয়েই ৩৫ রান দিয়েছেন।

Exit mobile version