কোকা-কোলা ও বিদ্যানন্দের যৌথ উদ্যোগে প্রতিদিন ৪,০০০ মানুষের সাথে ইফতার শেয়ার করা হবে
“শেয়ার আ মিল টুগেদার” ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রমজান মাসে ১ লক্ষ মানুষের সাথে খাবার শেয়ার করা হবে
রমজান মাসে একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক
বেসরকারি সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। দান ও কৃতজ্ঞতার চেতনায় রমজান মাস উদযাপনে ১ লক্ষ সুবিধাবঞ্চিত
মানুষের সাথে খাবার শেয়ার করাই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। “শেয়ার আ মিল টুগেদার” নামক ক্যাম্পেইনটি চলবে ২৫
রমজান পর্যন্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জুড়ে প্রতিদিন ৪,০০০জন মানুষের সাথে খাবার শেয়ার করা হবে।
ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য হলো সকলে একত্রিত হয়ে একে অপরকে সহায়তা করা। একইসাথে সকল প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে
মানুষের মধ্যে একাত্মতা প্রচার করা।
কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং বলেন, “যখন প্রতিনিয়ত আমাদের হাজারো চ্যালেঞ্জের
সম্মুখীন হতে হচ্ছে, এমন সময়ে সবাই একত্রিত হয়ে একে অন্যকে সাহায্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘শেয়ার আ মিল
টুগেদার’ ক্যাম্পেইনটির পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে সমাজে বিশেষ করে রমজান মাসে ইতিবাচক পরিবর্তন
নিয়ে আসা সম্ভব হয়।”
৪,০০০জন মানুষের সাথে খাবার শেয়ার করার পাশাপাশি এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা মাস জুড়ে পাঁচ দিন বিশেষ
ইফতারের আয়োজন করা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিতব্য এই ইফতার আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন
ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সবাই মিলে বড় আয়োজনে একসাথে ইফতার করা। এর মাধ্যমে
প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে একতা সৃষ্টির কথা প্রচার করা হবে। এই বিশেষ উদ্যোগে
অংশ নিতে আগ্রহীরা https://coca-colaramadantable.com/ সাইটে নিজস্ব তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিজেদের পছন্দের এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী অথবা অতিথি হিসেবে অংশ নিতে পারবেন তারা।
বিদ্যানন্দের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, “পবিত্র রমজান মাসে কোকা-কোলা ও বিদ্যানন্দ একটি
অনুপ্রেরণামূলক ক্যাম্পেইন নিয়ে কাজ করছে। সবার মধ্যে সমতার প্রচার করাই এর লক্ষ্য। খাবার শেয়ার করার
মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন জোরালো করে সবার মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করার জন্য এতি একটি চমৎকার উদ্যোগ।”
বাংলাদেশে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছে কোকা-কোলা। এই সময়ে নিয়মিত নানা উদ্যোগের মাধ্যমে কোটি
মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে কোম্পানিটি। উদ্যোগগুলোর মধ্যে আছে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত
করা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, কোভিড সহায়তায় ১১.৫ কোটি টাকা দান করা এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জীবনের
মান উন্নয়নের জন্য বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম।
কোকা-কোলা
বিগত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা-
কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার,
কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও ফ্যান্টা অ্যাপল। কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান কোকা-
কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড (“সিসিবিবিএল”) এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) স্বাধীন, অনুমোদিত
ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড (“এএমএল”) নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত। এই সিস্টেম
বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০-র বেশি ও ২১,০০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করছে। সারা দেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে
ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “উইমেন বিজনেস সেন্টার” এর লক্ষ্য নারীদের
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।
“ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট” গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক
কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা। এছাড়া, বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে
আইডব্লিউইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। টিসিসিএফ-এর সহায়তায়
মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০ লক্ষের বেশি মানুষের
জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।