গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় থামছে না অবৈধভাবে বালু
উত্তোলনের মহা উৎসব। হুমকির মুখে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সমতল ভুমি, রাস্তাঘাটসহ বসতবাড়ি। গত
ছয় মাসের অবৈভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা, পাম্পসহ ৫০০টি মেশিন ও ২
হাজার ফুট পাইপ জব্দ করেছে ভ্রামম্যান আদালত। গত শনিবার উপজেলার কাপাশিয়া ইউনিয়নে তিস্তা
নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলরে অপরাধে বাল্কহেড মালিক চিলমারি উপজেলার রমনা
গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)
মাহমুদ আল হাসান। উপজেলায় বালু মহাল না থাকায় দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী
অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বালু ক্রয় করে অবকাঠামো নির্মাণ করছে সাধারন মানুষ ও
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নে নির্মাণাধীন তিস্তা সোলার প্যানেল
এবং তিস্তা পিসি গার্ডার সেতর জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রভাব বিস্তার করে তিস্তা
নদী হতে বালু উত্তোলন করছে। বৈধ কাগজপত্রাদি দেখাতে না পারায় বেশ কয়েক দফা উপজেলা প্রশাসন
পাম্পসহ মেশিন ও পাইপ জব্দ এবং জরিমানা করেছে। উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বালু
ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, সাধারন মানুষের বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য স্থানীয়ভাবে পরিত্যক্ত
জমি লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করছিলাম। বিভিন্ন ভাবে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন
কয়েক দফা প্রায় দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও পাম্পসহ মেশিন জব্দ করে। এরপর থেকে আর বালু উত্তোলন
করি না। উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের দুই তলা বিশিষ্ট বসতবাড়ি নির্মাণের মালিক ফিরোজা
বেগম বলেন, বসতবাড়ি নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে বালু প্রধান উপকরণ। উপজেলায় বালু মহাল না
থাকায় স্থানীয় ভাবে বালু সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। সে কারণে পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলা হতে বালু
সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে করে নির্মাণ ব্যয় বাড়ছে দ্বিগুন । পৌর সভার ঠিকাদার জাহাঙ্গীর
হোসেন সরকার বলেন, নির্মাণ কাজের জন্য বিভিন্ন গ্রেডের বালুর প্রয়োজন। বরাদ্দে বালুর দাম
ধরে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সব বালু জেলার বাহির হতে নিয়ে আসলে ঠিকাদারী কাজে লোকসান হবে।
সে কারণে বিশেষ করে উপজেলার তিস্তা নদী হতে ভেটি বালু উত্তোলনের ব্যবস্থা করা একান্ত
প্রয়োজন। সুন্দরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিন্দ্র
নাথ মোদক বলেন, যত্রতত্র বালু উত্তোন পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাম্প মেশিনের সাহায্যে
ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ভুমিকম্পনে বসতবাড়ি,
বাস্তাঘাট ও সমতল ভুমির দেবে গিয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে ভুমি আইন মেনে বালু
উত্তোলন করতে হবে। উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভুমি) মাহমুদ আল হাসান বলেন, বালু মহাল ও ভুমি
ব্যবস্থাপনা আইন মোতাবেক ব্যক্তি নিজে তার জমি হতে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। বালু
উত্তোলনের কারণে প্রাকৃতি দুযোগে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। বালু মহাল ঘোষণার
মত জায়গা উপজেলায় নেই। সে কারণে বালু মহাল ঘোষণা সম্ভব হচ্ছে না। গত ছয় মাসে
উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা, পাম্পসহ ৫০০টি
মেশিন ও ২ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে।
নির্বাচন কখন হবে, তা সরকার ও রাজনৈতিক দলের বিষয়: জাতিসংঘ
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয় বলে মন্তব্য করছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক...