শরণখোলা উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, শরণখোলায় মোট ১১ হাজার ২৯০ জন চাষীর মাধ্যমে এবার ৯ হাজার ৪৩৯ হেক্টর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বিআর-১১, বিআর-৫২ ও বিআর-২২ জাতের ধান চাষের জন্য ৭৩০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে সব বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু শরণখোলা নয়, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জেরও অধিকাংশ এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বীজ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি সহায়তা দাবি করেন এসব এলাকার কৃষক।
শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম রাজৈর গ্রামের চাষী মো. সাইয়েদ আলী জানান, তার ১০ কাঠা জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য ডিলারের কাছে বীজধান কিনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ডিলারের কাছে বীজধান পাইনি।
সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী গ্রামের আলম নামের এক কৃষক জানান, সম্প্রতি বৃষ্টির ফলে ২০ কেজি ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে থাকায় পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এবার আর আমন চাষ করা সম্ভব নয়। নতুন ধান চাষাবাদের জন্য অনেক জায়গায় যোগাযোগ করেও বীজ সংগ্রহ করতে পারিনি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ফুলহাতা গ্রামের কৃষক মোস্তফা শেখ বলেন, ছয় বিঘা জমির বীজতলা সবই নষ্ট হয়ে গেছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলার ভাই ভাই স্টোরের স্বত্বাধিকারী বীজধানের ডিলার সুখদেব হালদার বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টিতে বীজধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাছে অনেক কৃষক এসেছেন। কিন্তু আমরা কাউকে বীজ দিতে পারছি না।
সরকারি বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসির (বীজ) বাগেরহাট কার্যালয়ের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী ৬০ টন বীজ বরাদ্দ ছিল। আমরা ৬০ টনেরও কিছু বেশি বীজ এ মৌসুমে কৃষকদের সরবরাহ করেছি। কিন্তু এখন নতুন করে আর বরাদ্দের সুযোগ নেই।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শঙকর কুমার মজুমদারবলেন, ২৭জুলাই-৬আগস্ট পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে জেলায় ২ হাজার ৫৮৮ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ##** ছবি সংযুক্ত আছে ** ## **