সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে তাপসী পান্নু কী বললেন!

স্টার আনন্দ প্রতিবেদক : মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেও তাপসী পান্নু এখন ভারতের জনপ্রিয় চিত্রতরকা। তিনি ২০১০ সালে রুপালি পর্দায় পা রাখার দুই বছর আগে সালে ভারতের একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তাপসী তখন ছাত্রী ছিলেন। দেড় দশক পর সেই সুন্দরী প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতার কথা সামনে আনলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাপসীর ভাষ্য, ওই প্রতিযোগিতায় পক্ষপাতিত্ব হয়েছিল বাছাই পর্বে। প্রশ্ন উঠেছিল সেখানে তার থাকার যোগ্যতা নিয়ে। সেই সময় তাকে চরম অপমানিতও হতে হয়েছিল বলে জানান।
বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে তাপসী জানান, দিল্লি থেকে বেছে নেওয়া তিনজনের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। তাকে লড়াই করতে হয়েছিল পেশাদার মডেলদের সঙ্গে। তাদের তুলনায় তিনি ছিলেন অপেশাদার, অনভিজ্ঞ। তখন পর্যন্ত তিনি শুধু ফটোশুট করেছিলেন। টিভির কোনো বিজ্ঞাপনে তার মুখ দেখা যায়নি, র‌্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতাও ছিল না তার। তাপসী বলেন, গ্রুমিং পর্বে বুঝেছিলাম, এটা আমি করতে পারবো না। আমাদের হাঁটা শেখানো হতো, কীভাবে হাসবো, তাও শেখানো হতো। হেমন্ত ত্রিবেদী তখন ছিলেন শিক্ষক। তিনি তখন বলেছিলেন, আমার হাতে থাকলে কখনই তুমি প্রথম ২৮ জনের মধ্যে জায়গা পেতে না।
তাপসী পান্নু জানান, শুটিং শেষের পার্টির পরে তিনি বুঝতে পারেন, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং খারাপ পরিবেশের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে। নেপথ্যের কাহিনী তুলে ধরে এই অভিনেত্রী বলেন, নানা রকম পক্ষপাতিত্বের ঘটনা ঘটতো সেখানে। প্রতিযোগীদের নানা চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল। শর্ত ছিল যে, প্রতিযোগীদের উপার্জনের ৩০ শতাংশ তিন বছরের জন্য অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ওই প্রতিযোগিতা থেকে দুটি খেতাব পেয়েছিলেন তাপসী। সেরা নতুন মুখের পুরস্কার (মিস ফ্রেশ ফেস) এবং সুন্দর ত্বকের পুরস্কার (মিস বিউটিফুল স্কিন)। এরপর ২০১০ সালে তেলেগু ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে আগমন তাপসীর। ২০১৩ সালে ‘চাশমে বাদ্দুর’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তার। আশির দশকের বিখ্যাত হিন্দি ছবির এই রিমেকটির পরিচালক ছিলেন ডেভিড ধাওয়ান। এরপর তার কেবলই এগিয়ে যাওয়া।
Exit mobile version