শহীদুল ইসলাম শরীফ, ঢাকা (দক্ষিন), প্রতিনিধি: সুন্দর ও প্রাকৃতিক পরিবেশে
গড়ে উঠেছে টিসিএল এগ্রো এন্ড ডেইরি ফার্ম। স্বত্বাধিকার ও এমডি
তানভির আহমেদের উদ্দ্যোগে এ ফার্মটি গড়ে উঠেছে । এ ফার্ম দোহারের
বানাঘাটায় অবস্থিত । অনেকে মোল্লা বাড়ি ফার্ম বলেও ডেকে থাকে।
কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২১১ টি গরু।
এ ফার্মে গরু গুলোকে মোটাতাজা করনে রাসায়নিক জাতীয় কোন ওষুধ
ব্যবহার করা হয়না। এমনকি গো-খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সার মুক্ত।
ভেটেনিনারি ডাক্তার তাজমিলুর রহমান জানান, পশুর খাবারের তালিকায়
আছে খৈল, ভুষি, খড়, সবুজ ঘাস, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার।
ইনজেকশন মুক্ত ও প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ স্টেরয়েড, বিশুদ্ধ গো-
খাদ্যের মাধ্যমে গরু গুলো বড় করা হয়েছে। ফার্মে রয়েছে নিজস্ব বায়োগ্যাস
প্লান্ট। গো-খাদ্যোর জমিতে এ প্লান্টের সার ব্যবহার করা হয়। ফার্মে
রয়েছে নিজস্ব ঘাস কাটার যান্তিক মেসিন। দেশি-বিদেশির গরুর সমন্বয়ে
গড়ে উঠেছে ফার্মটি। ছোট, মাঝারি ও বড় গরু থেকে, ক্রেতারা তাদের পছন্দ
মতো গরু কিনতে পারছে। এখানকার অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে । নেয়া
হয় না কোন হাটে। সহকারি হিসেবে সার্বক্ষনিক পরিচর্চায় নিয়োজিত
আশিকুজ্জামান জানান, কয়েকটি গরুকে বিশেষ নাম ধরে ডাকা হয়। প্রথমেই
উল্লেখ করেন নবাব এর নাম । তাছাড় রয়েছে, খান, সাকিব সহ বিভিন্ন গরুর
বিভিন্ন বাহারি নাম । দেখা গেছে কালো-সাদা রং এ মিশ্রিত নবাব বেশ শান্ত
শিষ্ঠ । চোখে রয়েছে নবাবি ঢং এর চাহনি।
কোরবানির গরু ব্যতীত রয়েছে ৬০টি দুগ্ধজাত গাভী। টিসিএল এগ্রো এন্ড
ডেইরি ফার্ম এ দুজন ডাক্তার, একজন সহকারীসহ মোট ২৫ জন
প্রশিক্ষিত কর্মী সার্বক্ষনিক গরু গুলো পরিচর্চায় কর্মরত।