By –“ ****”
Gender-Female
Location- rajshahi
আসসালামু আলাইকুম, আমি রাজশাহী থেকে বলছি।এডমিনের কাছে অনুরোধ আমার নাম পরিচয় জানতে চাইবেন না,কারণ আমার পরিচিত অনেকেই এই পেজে থাকতে পারে।
২০১৬/১৭ থেকে এই পেজের সাথে আছি,অনেকের অনেক সমস্যার সমাধান দিতে দেখেছি,নিজের সমস্যা নিয়ে কখনো লিখতে বসবো ভাবিনি আমি,এতোটাই নিরুপায় হয়ে গেছি।আশাকরি সুপরামর্শ পাবো এখান থেকে।
কলেজ লাইফের শুরুর দিকে একটা ছেলের সাথে আমার ফেসবুকে সম্পর্ক হয়, ছেলেটা আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকার ছিলো।ওর নাম ছিল রানা। আমাদের সম্পর্কটা শুরু দিকে অনেক ভালো ছিলো, সেও অনেক ভালোবাসতো আর আমিও অনেক ভালোবাসতাম তাকে।সব সম্পর্কের মতো আমাদের ভেতরেও ঝগড়া হতো,আবার মিটেও যেতো।এক কথায় কেউ কাওকে ছাড়া থাকতে পারতাম না।
পরিবর্তন টা শুরু হয় সে ভার্সিটি তে উঠার পর থেকে, আমাকে ধীরে ধীরে গুরুত্ব দেওয়া কমিয়ে দিলো।এমন না যে সে অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে এমন করছে।কিন্তু হ্যাঁ রানার বন্ধু মহলে এমন অনেক মেয়েই শুরু থেকে ছিলো যাদের নিয়ে অনেক সমস্যা হতো আমাদের ভেতর।এটা হয়তো বয়সের দোষ ছিলো।আমি তাকে অন্য কোনো মেয়ের সাথে বেশি মিশুক হওয়া পছন্দ করতাম না।কিন্তু সে এমন স্বভাবের ছিলো যে তার কাছে এগুলো কোনো বিষয় ই ছিলো না।তাই আমি কষ্ট পেয়ে হাত কাটতাম, না খেয়ে থাকতাম,নিজেকে সব ধরনের মানসিক টর্চার করতাম। তখন সে কিছুটা কম করতো কিন্তু কিছুদিন পরই আবার যে-কে-সেই!
যাইহোক, এভাবেই চলতে চলতে প্রায় ৬ বছর কেটে যায়।এর ভেতর কত শত বিয়ে যে ভাংছি তা হিসেবের বাইরে,অনেক ভালো ভালো ঘরের বিয়ে! রানাকে বিয়ের কথা বললে সে নানান অযুহাত দেখাতো, ক্যারিয়ার, ফ্যামিলি,বয়স (আমরা সমবয়সী ছিলাম )সে কোনো ভাবেই আমাকে ভরসা দিতো না যে সে আমাকেই বিয়ে করবে।শুধু খুব করে বললে বলতো জীবনে বিয়ে করলে আমায় ই করবে,কিন্তু সে আমায় কোনো ভরসা দিতে পারবে না! এভাবেও মেনে নিচ্ছিলাম সব,কিন্তু তার অবহেলা দিনকে দিন বেড়েই চলেছিলো। যেন তার কাছে সবার জন্য সময় থাকলেও আমি থাকলাম কি না থাকলাম তার কোনো গুরুত্ব নেই তার কাছে। পরে আমি আর পারছিলাম না নিতে।এর ভেতর বহুবার সুইসাইড করার সিদ্ধান্ত নিয়েও সফল হতে পারিনি । সে অবহেলা করতো আর পরিবার থেকে আমার বিয়ের জন্য অনেক চাপ দিতো, কথা শুনতে হতো অনেক।ত পরিবার শেষমেশ এও সুযোগ দিয়েছিলো যে পছন্দসই কে বিয়ে করতে চাইলে করো,বয়স হচ্ছে,এভাবে কতো বিয়ে ভাঙ্গা যায়,লোকে খারাপ ভাবে।
তারা রানাকে এও সুযোগ দিয়েছিলো যে শুধু বিয়ে টা করে রাখতে পরে চাকরি পেলে উঠায় নিতে, কিন্তু সে এসবে সাহস পেতো না।মূল কথা সে আমার পাশে দাঁড়াতে ভয় পেতো! কিন্তু আমি অবুঝের মতো তার বিনা ভরসার সম্পর্কেই পড়ে ছিলাম।
যাই হোক এতো কথা লিখে শেষ করা যাবেনা।এখন আসি আসল কথায়।রিসেন্ট আমার বিয়ে ঠিক হয় অন্য জায়গায়,বিয়ে ঠিক হওয়ার পরও তাকে দুইবার সুযোগ দিয়েছি তার মতামত এবং সিদ্ধান্ত কি জানানোর জন্য সে বলেছে সে কি চায় জানেনা।তারপর আমি তাকে ছাড়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে তে ফাইনালি মতামত দিয়ে দেই।
এতো কথা লিখে শেষ করা যাবেনা।এখন আসি আসল কথায়।রিসেন্ট আমার বিয়ে ঠিক হয় অন্য জায়গায়,বিয়ে ঠিক হওয়ার পরও তাকে দুইবার সুযোগ দিয়েছি তার মতামত এবং সিদ্ধান্ত কি জানানোর জন্য সে বলেছে সে কি চায় জানেনা।তারপর আমি তাকে ছাড়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে তে ফাইনালি মতামত দিয়ে দেই।
যেই ছেলেটার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয় সে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে সবটা জানে।আমিই জানিয়েছিলাম,কারণ আমি চাইনি কোন চাপা গল্প থাকুক যা নিয়ে সে বিয়ের পরে অশান্তি করবে।সে আমার সব কিছু নিয়ে আমায় হাসিমুখে মেনে নিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আর সে আমায় নিয়ে এতো সন্তুষ্ট যে নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে হয় ।আরো মনে হয় কেন এই মানুষটা আগে আসলো না,বা কেনো এই মানুষটাই রানা হলো না।আমিতো এমন মানুষই চেয়েছিলাম । কিন্তু ভাগ্য এতো নিষ্ঠূর যে রানা হয়তো আমার জন্য যোগ্য ছিলো কিন্তু আমায় গুরুত্ব দেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলো।এক কথায় সে আমায় প্রেমিকা হিসেবেই চাইতো কিন্তু বিয়ে করার ভরসা পেতোনা! এতে তার ফ্যামিলির যতটা প্রব্লেম ছিলো তারচেয়ে বেশি ছিল তার নিজের প্রবলেম। সে যদি আমাকে মন থেকে চাইতো তবে আমার যেকোনো পরিস্থিতিতে তো সে আমার পাশে থাকতো তাইনা!কিন্তু না আমার বিয়ের কথা শুনলেই সে মুখ ফিরিয়ে নিতো, বলতো বিয়ে করে নিতে, অপেক্ষা না করতে।
যাই হোক যখন সে দেখলো আমি সত্যিই এখানে রাজি হয়ে গেছি সে ফিরে আসার জন্য পাগলামি শুরু করলো।এখন অবশ্য সে ঠিকঠাক, কিন্তু আমার কেন জানিনা আফসোস হয় কেন সে আগে ঠিক হলো না? আমায় হারানোর যদি তার একটু ভয় থাকতো তবে আজ আমি তারই থাকতাম।সে যে বিগত দু-তিন বছর হলো অবহেলা করে গেছে সেটা ভুলে এখন তার পাগলামি করা মনে রেখেছে। তার মতে আমি নাকি তাকে ঠকিয়েছি। অথচ বিয়ের কথা শুরু হওয়ার পর থেকেই তাকে এসব জানিয়েছি যাতে সে সিরিয়াস হয়,কিন্তু সে তখন ভরসা দেয়নি আমায়!
আমি এখন শান্তি পাচ্ছিনা।সামনে আমার বিয়ে।দুই পরিবার থেকে সব মোটামুটি ঠিকঠাক।
আমি জানিনা বিয়ের পর কি হবে।তবে এমন চলতে থাকলে আমি ভালো থাকবো কিনা জানিনা।
মূলত আমার মানসিক শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটতেছে। আমি চাইনা আমার যার সাথে বিয়ে তাকে কষ্ট দিতে।কারণ সে আমার অতীত ভুলাতে অনেক চেষ্টা করে।আমায় ভালো রাখার চেষ্টা করে।
আর আমার এতো কিছুর পরও রানার কথা মাথা থেকে যাচ্ছেনা।হ্যাঁ, নিজেকে বদলেছি অনেক।আগে রানাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারতাম না।সে রিপ্লাই দিক বা না দিক মেসেজ দিতেই থাকতাম,এখন মেসেজ না দিয়ে,কথা না বলেও ঠিক আছি।শুধু মানসিক শান্তি টুকুই পাচ্ছিনা।
এমতাবস্থায় আমার কি করণীয়? লেখা টা অনেক বড় হওয়ায় দুঃখিত আমি,আরও অনেক কথা বলতে পারলাম না লেখা বড় হয়ে যাওয়ায়।প্লিজ আমাকে কিছু বলেন।
Post Views: 282
Like this:
Like Loading...
Related