মঙ্গলবার তখন রাত। ওই সময় স্ত্রী পান্না বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন সিরাজুল। পরে ঠাণ্ডা মাথায় শবে বরাতের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যান তিনি। এরপর রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে নাটক সাজান তিনি। স্ত্রীর গলাকাটা লাশ নিয়ে চিৎকারও করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের মেঝেতে গলাকাটা লাশ ও ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। একপর্যায়ে পুলিশের কাছে ফাঁস হয়ে যায় স্বামী সিরাজুল ইসলামের নাটক। বেরিয়ে আসে স্ত্রীকে হত্যার রহস্য। উদ্ধার করা হয় ব্যবহৃত রক্তমাখা জামা ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি।
রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামে। নিহত গৃহবধূ পান্না বেগম আক্কেলপুর উপজেলার গুডুম্বা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী, ভাসুর ও জাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৭ মার্চ মঙ্গলবার রাতে স্বামী সিরাজুল শবে বরাতের নামাজ আদায়ের জন্য গ্রামের মসজিদে যান। রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরে স্ত্রীর গলাকাটা করা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের মেঝেতে গলাকাটা লাশ ও ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর স্বামীর নাটক আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেরিয়ে আসে স্ত্রীকে হত্যার রহস্য। উদ্ধার করা হয় স্বামীর ব্যবহৃত রক্তমাখা জামা ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি।
গুডুম্বা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, মানুষ কিভাবে এমন নাটক করতে পারে। নিজের স্ত্রীকে গলা কেটে করে হত্যার পর ঠাণ্ডা মাথায় নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনায় আমরা হতবাক।
আক্কেলপুর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো ছিল। ঘরের মেঝেতে পড়েছিল ওই গৃহবধূর গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ। এতে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই, ভাবি ও প্রতিবেশী একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।