এই হল না কেন? কোথায় রয়েছ? কী করছ? ইত্যাদি হাজার প্রশ্ন স্ত্রী বারবার করলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। এবার তাঁর মুখ বন্ধ করার ৫ কৌশল জানালাম আমরা।
জীবন সবসময় সোজা পথে যায় না। কখনও তা সঠিক দিকে এগিয়ে যায় তো, কখনও হয় তা খারাপ। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন। কারণ স্ত্রীর বকুনি সহ্য করা চারটিখানি কথা নয় কিন্তু।
আপনি কোনও ভুল করলে তাও না হয় চলতে পারে। তবে অকারণেই কেউ যদি বারবার এক কথা বলে যান, সেক্ষেত্রে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। এমনকী সব ব্যাপারে প্রশ্ন থাকাও কিন্তু খুব ভালো নয়। এভাবে চলতে থাকলে একসময়ে আপনি অবসাদে চলে যাবেন। তখন আর ফেরার পথ সহজে মিলবে না।
তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। আমরা রয়েছি তো। আমাদের তরফ থেকে এমনই কয়েকটি টিপস পাবেন যার মাধ্যমে সহজেই এই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে। এবার থেকে বিষয়টি মাথায় রাখুন।
১. উত্তর দেবেন না
স্ত্রী বারবার এক কথা বলছেন? তাঁকে বলতে দিন। আপনার কোনও চাপ নেই। শুধু শুনে যান। দেখবেন তিনি একটা সময়ে চুপ করে গিয়েছেন। কোনও উত্তর আর চাইছেন না। এটাই হল ভালো শিক্ষা। এবার থেকে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখুন। আশা করছি তিনি বুঝতে পারবেন গোটা বিষয়টি। তখন আর সমস্যা থাকবে না বললেই চলে।
২. কথা বলুন
অনেকে স্ত্রীর এই ব্যবহার মেনে নেন। তাই তাঁরা কোনও কথা বলতে চান না। এবার আপনাকে এই ভুল থেকে অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে। কথা বলুন তাঁর সঙ্গে। কী ভুল, কেন সমস্যা ইত্যাদি কথা আপনাকে তাঁর সামনে খুলে বলতে হবে। তবেই তো জটিলতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এবার থেকে এই রাস্তায় হাঁটার চেষ্টা করুন। এভাবেই ভালো থাকবেন।
৩. নিজের ভুল খুঁজে নিন
অনেক সময় মানুষের নিজের কিছু ভুল থাকে। সেই ভুলের খবর জানতে পেরেই স্ত্রী আপনাকে নানা কথা বলতে পারেন। এবার এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য তৈরি হয়ে যান। কারণ আপনার ভ্রান্তি থাকলে তা বুঝতে হবে। তা শুধরে নেওয়া দরকার। তবেই দেখবেন সঙ্গী ভালো থাকতে পারছেন। তাই স্ত্রীর মুখে তালা লাগাতে নিজের ভুল খুঁজতে হবে।
৪. তাঁর কথা শুনুন
শুধু অবহেলায় কাজ হবে না। বরং তাঁর কথা আপনাকে শুনতে হবে। তিনি বারবার কেন এই কথাগুলি বলছেন, এটা বুঝে নেওয়া দরকার। দেখুন তো কোনও জটিল বিষয় তাঁর কথায় উঠে আসছে কিনা। তিনি কি অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন? তাই একবার এই বিষয়গুলি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কিছু ইঙ্গিত খুঁজে পেলেও পেতে পারেন। এবার এই টিপস মাথায় রাখুন।
৫. তাঁর কথার সঙ্গে আপনার তফাত খুঁজে দেখুন
আপনি যখন সমস্যা রয়েছে বুঝতে পেরেছেন, তখন সেই মতো ব্যবস্থাও কিন্তু নিতে হবে। সেক্ষেত্রে তফাত খুঁজে নিন দুই জনের চিন্তায়। তিনি কী বলছেন, আর আপনি কী ভাবছেন এই দুইয়ের মধ্যে একটা ফারাক পাবেন। তাঁদের যোগসূত্র খুঁজে ফেলতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান আপনি করতে পারবেন। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে। এই দিকটা অবশ্যই মাথায় রাখুন।