কবি কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন ( জুয়েল )
বঙ্গবন্ধুর বসত বাড়ি ঢাকা ধানমন্ডির বত্রিশ নান্বারে
বাড়ির আঙ্গিনা জুড়ে ইটে বাঁধান বঙ্গবন্ধুর অনেক ছবি
দু- ধারে তার বকুল গাছ বাড়ির অঙ্গে পংখী কূঁজন ,
বকুল ফুঁল আর পাখির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে
বঙ্গবন্ধু বাড়ির আঙ্গীনা দিয়ে গোলাপ ফুঁটে তাকিয়ে
হরেক রং বে রংঙ্গে তার সাথে ফুঁটেছে হাসনা হেনা ।
চম্পা ও বকুল সন্দর্যের অবকাশে মুগ্ধ হয়ে মন
সারাক্ষন নাচে প্রকৃতি যেন লুটিয়ে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর
বাড়ির মাঝ খানে বাগানের গেটে চেরি ফুঁল দুলিতেছে ,
সাঁজের এলোমেলো বাতাসের তালে যেন সমস্ত সন্দর্য টুকু
নিয়ে দু-হাত ভরে চাঁদ মামা ফোঁকলা দাঁতে মিষ্টি করে হাঁসে
বঙ্গবন্ধুর বসত বাড়ি ঢাকা ধানমন্ডির বত্রিশ নান্বারে ।
প্রতিদিন স্রোতের ন্যায় বাহারী মানুষ আসে
মানব স্রোতে ঢেও খেলে যাই বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আঙ্গিনা দিয়ে ,
বিকেল হলেই হাসের ঝাঁক সাঁতরে বেড়ায় লেকে
রাতের বেলায় রুপালি চাঁদ মিটি মিটি হাঁসে
গল্পে গল্পে রাত কাঁটিয়ে দেয় তারা বঙ্গবন্ধুর সাথে
আওলা বাতাস পাগলা হয়ে সকাল সাঝেঁ ভাসে
সূর্য ওঠে সকাল হলেই পাখীর কল – রবে ।
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে সন্ধা নামার সাথে
ঐ দুর বনে শিয়ালটা আজ হাঁকিছে বারং বার
মরজিদ থেকে মোয়াজ্জেমের আজান যেন কি করূন সুর ,
ঐ যে ঘাতকেরা দল বেঁধে এলো ধপাস ধপাস পায়ের শব্দ
সবাই নিবাক নিঃশচুপ…………………..…..!!
রক্তে ভেজা শরির রক্তে ভেজা ঘড় চশমাটা পড়ে আছে মেঝেতে তাহার
পড়ে আছে বঙ্গবন্ধুর প্রয়োজনিয় সব বুলেটে ঝাঁঝরা বুক
প্রান প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকেরা বাঁচতে দিলনা আর
পড়ে আছে পানের ডাবা পিকের ডাবা বঙ্গবন্ধুর পাশে
পিকে পিকে গলা ডুবু ডুবু বুকের রক্তে পিকের ডাবা
ভরে গিয়েছিল সব টুকু……………..!!
মেঝেতে তাজা প্রান রক্তে ভেজা র্শাট রক্তে ভেজা পানজ্ঞাবী
ঘাতকেরা সব পালাল পালাল, পালাল এই বুঝি ,
মেশিন গানের শব্দ থেকে থেকে আকাশে বাতাসে ভেসে
কিছুক্ষন বাদে সূর্য উঠল পাখির আধ আধ কল রবে ।
উড়ছেনা প্রজাপতি দুল ছেনা গোলাপ পাগল বেশে বায়ু ঝড়ে
মেঘের কান্না যেন থামছে না থামছে না আজ আরো ঘন কালো আঁধার হয়ে
হাজার স্রোতা হাজার জনতা কাঁদছে নেতাকে নিয়ে
নেতা খুন নেতা খুন আধোচাপা আর কাঁন্না সরে ।
সে কি ইতিহাস -সে কি ট্রজেডি -সে কি দুঃখ -অনেক কষ্ট মাথায় চেপে
বাড়িটি বঙ্গবন্ধুর দাঁড়িয়ে আছে আজও ভয়ে জড়ো সড়ো হয়ে ।।
স্বাধিনতা মাসের
কবিতা
শেখ মুজিবুর রহমান
কবি কে,এম,তোফাজেজল হোসেন (জুয়েল)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার পেটে জম্ম তোমার
মহান তুমি গড়িয়ান মহিয়ান আবার তোমার পেটে বাংলার জম্ম
ধন্য ধন্য বেড়েছে বাংলা জাতির মান তুমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ,
তুমি মহান তুমি শ্রেষ্ট মানব জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান
জম্মেছ বাংলাতে গর্ভ মোদের ধন্য আমাদের প্রান বেড়েছে আমাদের মান ।
বেড়েছে জাতির সম্মান জাতির পিতার আসনে তুমি বাংলার মেঠোপথ ঘাটে
বাংলা মায়ের কোলেতে শুয়ে জয় বাংলার ধ্বনি
শুনেছ প্রতিনিয়ত সব সময় দিনে রাতে ,
ছোট্র বেলায় বাংলার পথ ঘাটে হেঁটেছ তুমি অনেক
বাংলার কোলে কত চড়েছ হরসে খেয়েছ দোল
গুটি গুটি পাঁয়ে হয়েছ বড়, বেড়ে উঠেছ বাংলার বুকে ।
করেছ শাসন মিটিং মিছিল কঠিন দূর:সময় কঠোর ভাবে
বাংলা কাঁপিয়েছ গোটা দেশ থর থর তোমার বলিষ্ট কন্ঠ সরে
কেঁপেছে সব একাত্তুরের রাজাকার তোমার নাম শুনেই ভয়ে
তুমি সৎ তুমি মহান নেতা ছিলে গোটা বাংলা জুড়ে
একাক্তরের যুদ্ধে দুঃখ জ্বালা পোহায়েছ তুমি কত…..?
প্রতিদিন ভোর হয় পাখির কল রবে , সুর্য ওঠে পূর্ব দিকে ।
আজানের ধ্বনিতে নতুন বাংলার রুপ বদলায় প্রতিনিয়ত সকাল সাঝেঁ
সেদিন ছিল ১৯৭০ ঝাঝাল মেশিন গানের আওয়াজ
তুমুল যুদ্ধ জয় পরা জয় বোমা আর পারদের গন্ধে ,
১৯৭১ এ তোমারি বাংলা ফিরল তোমারি কোলে
ঘোষনা হল কুষ্টিয়া থেকে বাংলা বিজয়ের জয় গান
রয়ে গেলো কিছু রাজাকারা দেশ স্বাধীন হবার পরে
লাগলো ওরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমানের পিছে, ধরে মুজিবের ধর ধর শ্লোগানে ।
শত সরজন্ত্র শত কল্পনা, জলল্পনা মাথায় একে………..!!
ছুটল রাজাকারেরা শেখ মুজিকে জীবণে মারবে বলে
মুজিবকে ওরা বাঁচতে দেবে না ক্লিয়ার করতে হবে পথ
বাংলাকে নেবে হাতের মুঠোয় দখলে নেবে রাজাকারা সব,
ঐ রাজাকার আলবদরেরা আর বাঁচতে দিলনা তাকে ……!!
বুকের তাজা রক্তে মাখা সাদা পানজ্ঞামীটা ভরে গেছে লালে লালে ।
পড়ে আছে চশমাটা ঔ মেঝে বরা বর আল্ত করে ঘেঁষে
সেকি ট্রাজেডি সেকি বেদনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিড়ে
ফিরবে না আর চলে গেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐ বুঝি আমাদের ছেড়ে ,
উঠেলনা রবি ডাকেনা পাখি শিশুরা করবে না খেলা
শেখ মুজিবুর রহমান চলিয়া গিয়াছে খুশিতে সব রাজাকারেরা আত্মহাড়া ।
বাংলার মানুষের এত ব্যাথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিড়ে
কেমন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমহানকে রাখবে কবর দিয়ে
শেখ মুজিবুর রহমান কবর দেশেতে পালিয়ে রয়েছে নিরজন নিরালায় ……..?
মসজিদ মন্দিরে বসে আজও কাঁদে মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরন করে
তুমি কি জানো শেখ মুজিব নাম বাংলার মানুষ মনে মনে কতো যে জপে …………!!
তোমার ব্যাথায় ব্যাকুল হয়ে আজ ও কবরে ধারে বসে কাঁদে এক গুচছা রুবান কঁঠি
সাজিয়ে রেখেছে বাংলার বুকে তোমায় যা থেকে তোমার বাংঙ্গালী
ভালবাসার গন্ধ পায় প্রতিনিয়ত রোজ রাতে ।
দেখ জেগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘূমিয়ে থেকোনা আর ……………………,
শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছে সকাল উঠেছে রবি তাকিয়ে দেখ তুমি আজ
তোমার গড়া দেশ তোমারি মাতার শেখ হাসিনার আজ কোলে ,
বাংলার প্রকৃতি লুটিয়ে পড়েছে বাংলার মেঠো পথ ঘাটে
সব সন্দর্য টুকু নিয়ে দু হাত ভরে সূর্য ওঠে সকাল হলেই
পাখীর কলো রবে আওলা বাতাস পাগলা হয়ে
সকাল সাঝেঁ ভাসে শাপলা ফুঁটে রংঙ্গে হাঁসে তার
পদ্দ হাঁসে লাল রংঙ্গেতে শেখ হাসিনাকে বাংলার বুকে পেয়ে।
গ্রামের কৃষকেরা – ধূলী মাখা হাতে সোনালী ফসল কাঁটে
রুপ রেখা তাঁর মায়া ভরা যেন বাংলা মায়ের বুকে,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজীব তুমি আবার আসনা এই রাংলার মেঠো পথ ঘাটে
প্রতিদিন সকাল হলে সূর্য উঠলে তাঁর রুপ রসেতে মন ভরিয়ে দেয় কত
শাপলা ফুঁটে রঙ্গে হাঁসে তাঁর পদ্ম হাঁসে লাল রংঙ্গে।
স্বাধীনতার সৈনিক দের রক্তে মাখা জামা আগলীয়ে তাঁদের বুঁকে
গ্রামের কৃষকেরা ধূলী মাখা হাতে সোঁনালী ফসল কাঁটে
রুপ রেখা তাঁর মায়া ভড়া যেন বাংলা মায়ের বুঁকে
কোকিল শ্যামা আর দোয়েল টিয়া গান ধরেছে গাছে গাছে ,
তায় দেখিয়া রাখাল ছেলেরা বাঁশি বাজায় মধুর সুরে
বাংলা মায়ের ছয় ঋতুতে অনেক রুপের জাদু আছে
ভূলব ভূলব ভেবেও কেন ভূলতে পারিনা তাকে ।।
Post Views: 422
Like this:
Like Loading...
Related