আঞ্চলিক বাংলায় এটাকে হিল্লা বলা হলেও, আসলে এটির নাম – হালালা। এটা হল, বিয়ে হালাল করার এক পদ্ধতি। পদ্ধতিটি ইসলামে এক রকমের রয়েছে, কিন্তু আমাদের উপমহাদেশে, চালাকী করে, সম্পূর্ণ অন্য রকম বানিয়ে ফেলেছে। সাধারন মানুষ তো বটেই – আন্তঃজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামিক বক্তারা পর্যন্ত হালালা বিয়ে বিষয়ে ভুল বলে।
ইসলামে তালাক দেবার তিনটি ধাপ আছে। একবার তালাক দিয়ে, তিন মাস আলাদা থেকে দেখবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কনা। এর পরে, ফিরে আসলে ভালো। না ফিরে আসলে আরো তিন মাস আলাদা। এমন তিনবার করার পরে, বোঝা যাবে – এই দম্পতি আর এক সাথে থাকতে চাইছে না। তারা চুড়ান্ত তালাক নিতে পারে। তিনটি ধাপে এই সিদ্ধান্ত হয়। এজন্যই তিন তালাক কথাটি প্রচলিত হয়েছে।
এই তালাকের পরে, সেই নারীটি, আগের স্বামীকে ছাড়া, বিশ্বের যে কোন পুরুষকে বিয়ে করতে পারে। আগের স্বামীকে বিয়ে করার দরকার নেই। কারন তাকে বিয়ে করার ইচ্ছে থাকলে, তালাকটাই হতো না। এই নতুন বিয়েটা অবশ্যই স্থায়ী হতে হবে। নতুন দম্পতির ইচ্ছে থাকবে, আজীবন একসাথে থাকা। ঘটনা এখানেই শেষ।
এর পরেও যদি, সেই নতুন সংসারে অশান্তি দেখা যায়, এরাও এক সময়, তিনটি ধাপ পেরিয়ে চুড়ান্ত তালাক নিতে পারে। এই তালাকের পরে, নারীটি চাইলে আবারও বিয়ে করতে পারে। এবার নারীটি তার দ্বিতীয় স্বামীকে বাদ দিয়ে যে কোন পুরুষকে বিয়ে করতে পারে। এই যে কোন পুরুষের তালিকাতে, প্রথম স্বামীটিও আছে।
এতক্ষন যা বললাম, সেটা হল ইসলামিক পদ্ধতি।
মানুষ এটাকে কি বানিয়েছে? তারা বানিয়েছে – তালাক দেওয়া স্ত্রীকে আবার বিয়ে করতে চাইলে, অন্য একজন পুরুষের সাথে তাকে অস্থায়ী বিয়ে দিতে হবে।
এটা হল, চালাকী করে ইসলামিক পদ্ধতি অপব্যাবহার করা। তাছাড়া, অস্থায়ী বিয়ের কোন পদ্ধতি ইসলামে নেই।