স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা ৫৯ মিনিটে আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কে সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার আকাশে একটি উজ্জ্বল আলো উপরের দিকে উঠছে। এটি খুব দ্রুত দিক পরিবর্তন করার আগে দুই বার জ্বলে ওঠে এবং পরে বিস্ফোরিত হয়।
আর এই বিস্ফোরণ অন্য কোথাও নয়….!
হযরত ইবরাহীম আ. এ-ভূমিতে, যেখানে বসবাস করেছেন নবী ইসহাক ও ইয়াকুব আ.-ও ফিলিস্তিনের মাটিতে ঘুরেছেন, থেকেছেন। ইউসুফ আ.-এর জন্ম এখানেই। তারপর মিশরে গেলেন ভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে। হযরত লূত আ. ফিলিস্তিনের একটা অংশের মানুষ। নবী দাউদ আ.-এর জীবন অতিবাহিত হয়েছে এ-ভূমিতে। তাঁর ছেলে সুলাইমান আ.-এক রোমাঞ্চকর জীবন অতিবাহিত করলেন বায়তুল আকসাকে ঘিরে। হযরত সালিহ আ.-কতো ঘুরেছেন এই দেশের অলিগলি! হযরত যাকারিয়া আ. কোথায় থাকতেন? বায়তুল আকসার মূল কেন্দ্রে। তাঁর কাছেই বড় হয়েছেন হযরত মারইয়াম আ.। হযরত ঈসা আ.-এর জন্ম সেখানেই। আমাদের নবীর ঐতিহাসিক ভ্রমণ ছিল সেখানে। মসজিদুল আকসায় ইমামুল আম্বিয়ার দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে সোজা চলে যান আরশুল আযীমের দিকে—রবের সাথে একান্ত সান্নিধ্যের উদ্দেশ্যে।
আল-আকসার প্রতি ভালবাসা স্থাপন আমাদের ইমানের অংশ, আমাদের ইবাদাতের অংশ ।আল-আকসা দখলদারদের হাতে ছেড়ে দেয়া আল্লাহ, রাসুল সা. ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের সঙ্গে প্রতারণা।
দোয়ায় বলতে থাকুন, হে আল্লাহ! ফিলিস্তিনে আপনার দুর্বল বান্দাদের বিজয় দান করুন। আমিন।