৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

দ্বিতয় ওয়ানডেতে আফগানদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ আতাল। তবে শুরুতেই এই জুটিকে থামান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তার বিদায়ে ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা।

১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন সেদিকউল্লাহ আতাল ও রহমাত শাহ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে আফগানরা। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছিল এই জুটি। অবশেষে এই জুটিকে থামালেন নাসুম আহমেদ। নাসুমের বলে মেহেদী হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান সেদিকউল্লাহ আতাল। তার বিদায়ে ভাঙে ৫২ রানের জুটি।

সেদিকউল্লাহ আতালের বিদায়ের পর হাশমাতউল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে জুটি গড়েন রহমাত শাহ। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ৮৭ রানে দ্বিতীয় বারের মতো জীবন পান রহমাত শাহ। ইচ্ছে করেই বলটি স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ফাঁদটা কাজেও লেগেছিল। রহমত শাহ ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বল তাঁকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটকিপার জাকের আলীর হাতে। জাকের অবশ্য অনেকটাই দেরি করে ফেলেন। তিনি স্টাম্প ভাঙার আগেই নিরাপদে ক্রিজে পৌঁছে যান রহমত। এর আগে মিরাজের বলে এই রহমতের ক্যাচ ফেলেছিলেন জাকের। সেই সময় রহমত ছিলেন ১১ রানে, এবার ‘জীবন’ পান ৩০ রানে।

আর জীবন পেয়েই ওযানডে ক্যারিয়ারের ৩০তম অর্ধশতক তুলে নেন রহমাত শাহ। ক্রমেই বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছিল এই জুটি। অবশেষে এই জুটিকে থামিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের বলে ফাইন লেগে শরিফুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান হাশমাতউল্লাহ শাহিদি। আউট হওয়ার আগে করেন ৪০ বলে ১৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি।

মুস্তাফিজের পরের ওভারেই আফগান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে করেই প্যাভিলিয়নের ফিরে যান আজমাতউল্লাহ ওমারজাই। আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের বিদায়ের পর এ্কই ওভারে নাসুমের বলে রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অর্ধশতক তুলে নেওয়া রহমাত শাহ। এই তিন ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ১১৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানরা।

১১৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মোহাম্মাদ নবি ও গুলবাদিন নাইব। জুটি গড়েই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেরতে থাকেন তারা। এই জুটি মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল এই জুটি। অবশেষে এই জুটিকে থামান পেসার শরিফুল ইসলাম।

Exit mobile version