৮ মার্চ ২০২২, রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ টায়, তোপখানা রোডস্থ, পুরানো পল্টন মোড়ে, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন,বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতির যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়। “টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মানে নারী—পুরুষের সমতা এখনই”— এ মূল শ্লোগান সহকারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী লাভলী ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৃষক নেতা কমরেড এএসএম বদরুল আলম, জায়েদ ইকবাল খান, ভূমিহীন নেতা সুবল সরকার, শ্রমিক নেতা বাহারানে সুলতান বাহার, শ্রমিক নেত্রী সালেহা ইসলাম সান্তনা,কৃষক নেতা সুলতান আহমেদ বিশ্বাস, নারী নেত্রী রেহেনা বেগম, আশা মণি, প্রমূখ।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা নারী দিবসের ঐতিহাসিক গুরত্ব তুলে ধরে বলেন, সমাজে নারীদের বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীদের আত্মমর্যাদা ও সমঅধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয় নি। তারা সমাজে চরম বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার। বক্তারা বলেন, পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবদানকে স্বীকার করে না। বরং সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার নারীর অগ্রগতির পথে চির বাঁধা হয়ে আছে। তাঁরা এ বাঁধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে নারীদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতি জোর দেন।
বক্তারা আরো বলেন, এত বাঁধা বিপত্তির পরও স্বাধীনতার পর হতে বাংলাদেশের নারীদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে প্রভূত সাফল্য রয়েছে। কিন্তু অন্ধকারের এক শক্তি এ অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে। নারীদের তারা মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না। নারী প্রতি তারা কুরুচিপূর্ণ কথা ছুড়ে দেয়। ‘ঘরের বাহিরে এসে নারীদের উপার্জন করা দরকার নেই’, ‘নারীর উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন নেই’, ‘নারী জেনা করে উপার্জন করে’ ইত্যাদি নোংরা উক্তি করে নারীদেরকে খাটো করতে একটি মহল পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা নারীর অধিকার ও স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ কোভিড ১৯—এর মধ্যে গার্মেন্টস কারখানার শ্রমজীবী নারীদের প্রতি মালিক পক্ষ যে অন্যায় আচরণ করছে তার তীব্র সমালোচনা করে কর্মচ্যূত নারীদের কাজে পূনর্বহাল, তাদের বেতন, ওভারটাইম, বকেয়া পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ করোনাকালে কৃষি উৎপাদনে নারী কৃষকদের বিশাল অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, নারী কৃষকদের ন্যায্য মজুরী, সম—কাজে, সম—মজুরী প্রদান করতে হবে।