এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৬ নং চিংড়াখালী ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড নিবাসী মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে গরীব-অসহায়দের সরকার কর্তৃক দেয়া রেশনের ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চালের কার্ড আত্মসাত এর অভিযোগে স্থানীয়রা প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওয়ার্ডবাসী ভুক্তভোগী জনসাধারণ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর মোখলেছ শেখের পুত্র মোহাম্মদ আলী শেখ রেশনের ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চালের কার্ডের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে দেখার দায়িত্ব নেয়, ইউনিয়নের এই চালের কার্ড তার মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়। উক্ত জমাকৃত কার্ডের চাল ছাড়িয়ে সুবিধাভোগী কার্ডের নাম ধারীদের না দিয়ে মোহাম্মদ আলী নিজেই তা আত্মসাত করে।
এ বিষয়ে ভুক্ত ভোগী চিংড়াখালীর আবু বকর সর্দারের পুত্র ফজলু সর্দার(৪৫), কার্ডধারী আইউব আলী হাওলাদারের পুত্র লতিফ হাওলাদার এবং ইদ্রিস শেখের স্ত্রী রাশিদা বেগম(৫৫) দাবী করেন যে, বিগত কয়েক বছর ধরে গরীব অসহায়দের এই সরকারের দেয়া চাল ১৫/- টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৩০ কেজি চালের কার্ড থেকে চাল ছাড়িয়ে কোনমতে কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হয়। সেই কার্ডের চাল মোহাম্মদ আলী শেখ ঐ চাল ছাড়িয়ে নিজ বাড়ী নিয়ে আত্মসাত করেছে। অনেকে কাজকর্ম করতে পারে না, কেউ প্রতিবন্ধীর, কেউ বৃদ্ধ। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সরোয়ার সর্দারের স্ত্রী সজনী বেগম, আবু বকরের পুত্র নজরুল সর্দার সহ স্থানীয় বহু ভুক্তভোগী। এ সময় মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মনিরুদ্দিন শেখ এর পুত্র সোবাহান শেখ(৬০) বলেন, ‘মসজিদের টাকা নিয়েও আলীর সাথে হিসাবের গড়মিল আছে।’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আশেক ফাউন্ডেশনের উপজেলা যুগ্ন-সম্পাদক আজিম শেখ বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ তারা শুনেছেন, এই আলী শেখের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। বর্তমানে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে দলীয় চাপ আছে, দল থেকে তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া মাসুদ হাওলাদার বলেন, বর্তমানে দলীয়ভাবে মোহাম্মদ আলী কার্ডের দায়িত্ব পেয়ে চিংড়াখালী ইউনিয়নের অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। এ ছাড়াও মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ প্রানের দাবী, প্রশাসনকে মোহাম্মদ আলীর এই দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, আলীর বিরুদ্ধে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যাহা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার এবং ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত আলী শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কার্ডের বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ ভাবে কিছু বলতে পারছিনা দায়িত্বরত আরো কিছু মানুষ আছে। তারা হয়তবা বলতে পারবে।# ##** ছবি সংযুক্ত আছে ** ## **
উৎসবের আমেজে ঠাকুরগাঁওয়ে গণতন্ত্র উৎসব পালন
উৎসবের আমেজে ঠাকুরগাঁওয়ে গণতন্ত্র উৎসব পালন জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও: ঢাকঢোল, নাচ-গানে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবের আমেজে পালিত হয়েছে গণতন্ত্র উৎসব। যুব ফোরাম ও জেলা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে এবং ডেমোক্রেসি ওয়াচের অর্থায়নে এ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকালে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে উৎসবটির শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। র্যালির পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তৃতা দেন যুব উন্নয়ন ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচালক মনসুর আলী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সভাপতি জাকির মোস্তাফিজ মিলু। উৎসবের অংশ হিসেবে ৮টি স্টল প্রদর্শিত হয়, যেখানে বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, গণতন্ত্র রক্ষা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, ভোটার সচেতনতা, নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং তরুণ-তরুণীদের নেতৃত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতামূলক তথ্য প্রদান করা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুবদের ভূমিকা অপরিসীম। ছেলে-মেয়ে বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিকদের ভোটার অধিকার নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন সচেতনতার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। এজন্য আমাদের নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং সেগুলি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জসীমউদ্দীন ইতি