বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি ঃ নওগাঁর বদলগাছীতে সহকারী জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা চিঠি পেয়ে বাদীর গভীর নলকূপ ঘরে তালা ঝুলিয়ে দখল করে নেওয়ায় বিবাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উপজেলার কোলা ইউপির শ্যামাহার মৌজায়। কোলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র সুজাউল ইসলাম কুদ্দুস বলেন ২০১২ সালে শ্যামাহার মৌজায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে বোরো মৌসুমে সেচকার্য পরিচালনা করে আসছে। গত বছর বোরো মৌসুমের আগে আমার গভীর নলকূপ থেকে ৫০ গজ দুরে কেশাইল গ্রামের মৃত ছামসুল আলম চৌধুরীর ছেলে আবুল হাসনাত চৌধুরী জোরপূর্বক নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করে আমার স্কীম দখলের চেষ্টা করে। বাঁধা দিলে আমাকে মেরে ফেলা হুমকী দেয়। আমি নওগাঁ সহকারী জজ আদালতে মামলা করি। মামলা চলমান রয়েছে। গত ১২ জানুয়ারী বিবাদী আদালতের নিষেধাজ্ঞা চিঠি পেয়ে রাতে আমার গভীর নলকূপ ঘরে হামলা করে আমাদের বের করে দেয় এবং আমাদের চাবী কেড়ে নিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় । বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগে থানায় শালিশ হয়। সেখানে জানতে চাইলে বিবাদী আবুল হাসনাত জানান আমি জোড় করে গভীর নলকূপ বসায়নি। ১৯৯১ সালে আমার গভীর নলকূপ বসানো আছে। ক্রুটি জনিত কারনে বন্ধ ছিল গত বছর আমি মেরামত করেছি। সুজাউল ইসলাম আমার স্কীমে গভীর নলকুপ বসিয়েছে। সুজাউলকে ঘরে ঢুকতে দেননি এবং চাবী কেড়ে নিয়ে ঘরে তালা দিয়ে রেখেছেন জানতে চাইলে হাসনাত চৌধুরী কথা বলার আগেই তার সহকারী ফারুক জানান তার চাবি আমরা কেড়ে নেয়নি ওটা জমির মালিক নিয়েছে। রোববার সরেজমিনে তথ্য সংগ্রকালে দেখা যায় সুজাউলের গভীর নলকূপ ঘরে দরজায় দুটি তালা ঝুলছে। এই স্কীমের আওতা ভুক্ত কৃষক আঃ মজিদ জানায় সত্য কথা বললে বন্ধু ব্যাজার হবে। আবুল হাসনাত চৌধুরীর গভীর নলকূপ ছিল সেখানে অনেক আগে। ২০০১ সালের দিকে গভীর নলকূপ তুলে বিক্রি করেছে। তাদের ৪/৫ টি গভীর নলকূপ ছিল সব তুলে বিক্রি করে। গত বছর চৌধুরী নতুন করে গভীর নলকূপ বসান। গভীর নলকূপ ঘরের আগে পিছে অনেক কৃষক বোরো ধান রোপন করছিল। জানতে চাইলে তারা জানান আমাদের নাম দিবেন না আমরা গরীব মানুষ। তবে সত্য কথা গভীর নলকূপ আবুল হাসনাত চৌধুরীর ছিল অনেক আগে তখন তারাতুলে বিক্রি করেছে। গত বছর আবার নতুন করে গভীর নলকূপ বসালে এই দ্বন্দ শুরু হয়। উপজেলা বরেন্দ্র প্রকৌশল অধিদপ্তরে খোজ নিয়ে জানা যায় ২০২২ সালে সুজাউল ইসলামকে উপজেলা সেচ কমিটির পক্ষ থেকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। তাকে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি দিয়েছে। বরেন্দ্র অফিসের এসও জাহাঙ্গীর আলম জানান ২০২২ সালে সুজাউল ইসলামকে সেচ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তখন তদন্ত করে আশে পাশে কোন গভীর নলকূপ ছিল না। মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বরেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইন্তেখাপ আলম জানান আমি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। এ মহুর্তে কিছু মনে পড়ছে না। আমি সঠিক তথ্য জেনে জানাতে পারব।