রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সরকারিভাবে গড়ে উঠা একমাত্র পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র শাল্টি গোপালপুরের শালবনে মিঠাপুকুর ইকোপার্ক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিনোদন কেন্দ্রটির অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০০৮ সালে জন স্থানীয়দের দাবি ছিল মিঠাপুকুরের শালবনকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় স¤র্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দৃশ্যমান হয় ইকোপার্ক বাস্তবায়নের কাজ। ২০১৩ সালে ২২৬ একর বনবিভাগের জমিতে শুরু হয় ইকোপার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ। সেই সময় দু’কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় পাকা সড়ক, ২০টি ব্রেঞ্চ, দোলনা, পিকনিক ¯পট, দর্শনার্থীদের জন্য কক্ষ, ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক, ছাতা, গোলঘর ও স্লিপার। নির্মানকাজ শেষ হতে না হতেই দর্শনার্থীদের ভীড় জমে ওঠে শালবনে মিঠাপুকুর ইকোপার্কে। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে সীমানা প্রাচীর। শাল্টি গোপালপুর বনবিট কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, মিঠাপুকুরের শাল্টি গোপালপুর শালবনে বিভিন্ন সময় দর্শনার্থীরা ভীড় জমাতো। তখন কোনো অবকাঠামো ছিল না শালবনে। তৎকালিন জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় আমি শালবনকে ইকোপার্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমানের সহযোগীতা কামনা করি। তিনি ২০১৩ সালে প্রথম বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন ইকোপার্কের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন ইকোপার্কটিতে আরো উন্নয়ন কাজ করা হলে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি মিঠাপুকুরের একমাত্র সরকারি পর্যটন কেন্দ্র পার্কটি হবে দৃষ্টিনন্দন। বিনোদন প্রেমিক মানুষের দৃষ্টি এখন মিঠাপুকুর ইকোটার্কের দিকে।