সুষ্ঠু ভোট হলে বগুড়ার দুটি আসন থেকেই উপ-নির্বাচনে জয়লাভের প্রত্যাশা করছেন সোশাল মিডিয়ায় আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট শুরুর পর থেকেই তিনি দুই আসনের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এর মধ্যে একটি কেন্দ্র থেকে নিজের পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে হিরো আলম বলেন, “একটি কেন্দ্রে আমার এজেন্ট বের করে দিলে আমি নির্বাচন কর্মকর্তাকে ফোন দেই। অনেকবার ফোন দিলেও ধরেননি। পরে অবশ্য ধরলে বিষয়টি জানিয়েছি।”
বগুড়া-৬ আসনে গোলযোগের আশঙ্কা প্রকাশ করে আলোচিত এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, “কিন্তু বগুড়া-৪ আসনে এখনও তেমন কিছু দেখছি না।”
ভোটারের উপস্থিতি কেমন দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কম। তবে আমি আশা করছি, দুপুরে পর হয়তো ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।”
বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৪ আসনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও বলেন, “ভোট এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে দুটি আসনেই আমি জিতব। আমি শতভাগ আশাবাদী।”
২০১৮ সালেও হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছিলেন। এবার তিনি ‘ভোটারদের চাওয়ার মুখে’ বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকেও প্রার্থী হয়েছেন।
কিন্তু ‘প্রার্থীদের দেওয়া এক শতাংশ ভোটার তালিকা যাচাই করে একাধিক ব্যক্তির সমর্থনের সত্যতা পাওয়া যায়নি’ বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা দুটি আসনেই তার মনোনয়ন বাতিল করে দেন। পরে তিনি ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও বিফল হন।
নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে সবশেষ ২০১৮ সালের মত উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম।
সম্প্রতি বিএনপির সংসদ সদস্য পদত্যাগের পর নতুন করে বগুড়ার দুটি আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এসব আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
বগুড়ার কেবল অপারেটর আশরাফুল আলম নিজের মতো করে গান গেয়ে ও মিউজিক ভিডিও তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় তুলে দেশ এবং দেশের বাইরেও এখন পরিচিত।
তিনি রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। তারপর পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে। তা নিয়েও সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।